পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

d:Եր বেদান্ত প্রবেশ স্বজতে গৃহতেচ যথা পৃথিব্যাং ওষধয়ঃ সম্ভবন্তি যথা স্বতঃ । পুরুষাৎ কেশলোমানি তথাক্ষরাৎ সম্ভবতীহ বিশ্বং ” যেমন উৰ্ণনাভি স্বীয় অঙ্গ হইতে তন্তু স্বজন করে এবং পুনরায় তাহ গ্রহণ করে, যেমন পৃথিবীর উপরে ওষধি সকল জন্মে, যেমন মনুষ্য দেহ হইতে আপনা হইতে কেশ লোমাদি উৎপন্ন হয়, সেইরূপ, ব্ৰহ্ম হইতে এই বিশ্বসংসারের উৎপত্তি হইয়াছে । র্তাহার ইচ্ছামাত্রেই স্থষ্টি হইল ; যদিও এই কথাই সহজ কিন্তু স্বভাবতঃ এই প্রশ্ন উঠিয়াছিল “কিং কারণং ব্রহ্ম” তিনি কিরূপ কারণ ? 'নিমিত্ত কারণ, না উপাদান কারণ না আর কোন প্রকার কারণ ? তিনি ইচ্ছা করিলেন আর স্বষ্টি হইল, সত্য। কিন্তু স্বষ্টিকে যে প্রকার বিপুল পদার্থ ও জীব পরিপূর্ণ ব্যাপার দেখা যাইতেছে ইহা পূৰ্ব্ব হইতে না থাকিলে, অথবা কোন দ্রব্য-ধাতু-বিশিষ্ট উপাদান বিনা, কি কেবল এক নিগুৰ্ণ ইচ্ছা হইতে উৎপন্ন হইতে পারে ? এ কথার সহজ ও স্থল উত্তর এই যে, পূৰ্ব্ব হইতেই ঈশ্বরের সগুণ শক্তির মধ্যে অব্যক্ত ভাবে স্বষ্টি ছিল। ইচ্ছার আলোচনাতেই উহা ঐ শক্তি হইতে ব্যক্ত হইয়াছে। বেদান্তসূত্র ২১১৬। “সত্তচ্চাবরস্য” অবর অর্থাৎ জগৎরূপ কাৰ্য্য স্বষ্টির পূর্বে সত্যস্বরূপ ব্রহ্মের মধ্যে ছিল । কিন্তু তখন জগৎ নামরূপে প্রকাশ ছিল না। এখনও ব্রহ্মেরই মধ্যে আছে, কিন্তু নামরূপে প্রকাশ হইয়া আছে। অতএব কথিত হইয়াছে যে, যেমন উর্ণনাভি আপনার উদর হইতে তন্তু স্বজন করে ও ইচ্ছা হইলে তাহা সংহরণ করিতেও পারে, সেইরূপ পরমেশ্বর আপনার গুণময়ী শক্তি হইতে জগৎ প্রকাশ করিয়াছেন এবং ইচ্ছা হইলে তাহ সেই শক্তিতেই পুনঃ গ্রহণ করিবেন।