পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদান্ত । ፴፭) অতএব ঈশ্বরের শক্তিই জগতের উপাদান কারণ এবং তাহার ইচ্ছার আলোচনা নিমিত্ত কারণ। * ৭৩। উপনিষৎ পরমেশ্বরকে এইরূপ কারণ কহেন। এখন তোমরা তাহাকে কি নিমিত্ত কারণ কহিবে ; না উপাদানকারণ কহিবে ? কুম্ভকারের যত্নে ও ইচ্ছাতে ঘট স্বষ্টি হয়, কুম্ভকার যেমন সে জন্য ঘটের নিমিত্ত কারণ, ব্ৰহ্মও সেইরূপ ইচ্ছা ও আলোচনা দ্বারা জগৎ স্বষ্টি করাতে, নিমিত্ত কারণই হইতেছেনু । কিন্তু কুম্ভকার যেমন মৃত্তিকা পৃথিবী হইতে আহরণ করে এবং সেই মৃত্তিকাই ঘটের উপাদান অর্থাৎ পরিণামী কারণ হয়, ঙ্গেরূপ জগৎ-নিৰ্ম্মাণোপযোগী উপাদান সমূহকে পরমেশ্বর অন্যত্র হইতে আহরণ করেন নাই। সে সকল তাহারই শক্তিতে অব্যক্তরূপে অবস্থিতি করিতেছিল সুতরাং তাহার শক্তি অর্থাৎ डिनैिई + জগতের উপাদানকারণও হইলেন । কিন্তু উপাদানকারণের লক্ষণ এই যে তাহা পরিণামী—যেমন মৃৎপিণ্ড ঘট হইতে হইতে ব্যয় হইয়া যায় অর্থাৎ ঘটরাপে পরিণত হয়, ঈশ্বরকে সেরূপ কারণ বলা যাইতে পারে না। এজন্য বেদান্ত-বিজ্ঞান-শাস্ত্রে তাহাকে বিবর্ত-উপাদান-কারণ বলেন। অর্থাৎ তাহার ইচ্ছাতে র্তাহার শক্তি হইতেই জগৎ হইয়াছে তাহাতে র্তাহার স্বরূপের ক্ষয়, ব্যয় বা অন্যথা হয় নাই। যেমন রজ্জতে ভ্ৰমে অহি-দর্শন হয় সেইরূপ সত্যস্বরূপ পরমাত্মার শক্তিতে জগৎ প্রকাশ পাইতেছে। রজ্জ্ব যেমন সর্প নয়, পরমাত্মাও সেইরূপ জগৎ নন। কিন্তু রজ্জ্ব যেমন মিথ্যা সপের বিবৰ্ত্ত-উপাদান-কারণ,

  • আমার “স্থষ্টি” দেখহ । অব্যক্ত প্রং । † “শক্তিশক্তিমতোরভেদঃ।”—জৈমিনিঃ।