পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գo বেদান্ত প্রবেশ । পরমাত্মা এই জগতের সেইরূপ বিবর্ত-উপাদান-কারণ ৷ পরমেশ্বর যে স্বয়ং জগৎ হন নাই কিন্তু আপনার শক্তি হইতেই তাহা প্রকাশ করিয়াছেন তাহাই বুঝাইয়া দেওয়া এই দৃষ্টান্তের মুখ্য উদ্দেশ্য। কিন্তু কোন কোন অদ্বৈতবাদী আচাৰ্য্য ঐ “মিথ্যা সপটির” উপলক্ষ করিয়া জগৎকে বাস্তবিক মিথ্য। বলিয়া প্রতিপন্ন করিয়াছেন । সুতরাং তাহীদের মতে ব্ৰহ্মই একমাত্র সত্য, জগৎ একেবারে মিথ্যা । ব্রহ্মভিন্ন দ্বিতীয় আর কিছু থাকিল না । ইহারই নাম অদ্বৈতবাদ । উপনিষদের মধ্যে ইহার পোষকতায় বিস্তর বচন আছে, ফলে জগৎকে একেবারে মিথ্যা বলা সে সব বচনের উদ্দেশ্য নহে। তাহার মুখ্য উদ্দেশ্ব এই যে, ব্রহ্মই সারাৎসার, আর সব অসার এবং অনিত্য । “নিত্যোহনিত্যানাং চেতনশ্চেতনীনামূ” (কঠোপনিষৎ বে। ১৩) সমুদয় অনিত্য বস্তুর মধ্যে তিনিই নিত্য এবং তিনি সকল জীবের জীবন । ৭৪। আর এক প্রকার অদ্বৈতবাদ ঃ আছে যাহাতে তাহাকে বিবৰ্ত্ত উপাদান কারণ ন৷ কহিয়া একেবারে পরিণামী কারণ কহে। তাদৃশ অদ্বৈতবাদীরা কহেন যে, এই জগৎ ও জীব সমুদয়ই ব্রহ্ম । তাহারাও উপনিষদ হইতে বিস্তর বচন প্রমাণ দেন। উপনিষদে তাদৃশ বচনের সংখ্যা । অনেক, সত্য, কিন্তু তাহার এমত অর্থ নয় যে, ব্ৰহ্ম নিজে আসিয়া জগতের প্রত্যেক পদার্থ ও জীব হইয়াছেন। ব্রহ্মের সর্বব্যাপ্তিত্ব ঘোষণা করাই তাহার উদ্দেশ্য— ব্ৰহ্ম যে জীবাত্মার অন্তরাত্মা তাহাই দেখান তাহার অভিপ্রায়। “সৰ্ব্বংহ্যেত ক্ষ, অয়মাত্মব্রিহ্ম” জগতের সমুদয় বস্তুই ব্রহ্ম, + छकाँटेश्वज्रदांम । . , -