পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ote বেদান্ত প্রবেশ । জীবাত্মার আশ্রয়, ব্রহ্মম্বারাই তাহারা জীবিত থাকে। অতএব ব্রহ্ম জীবনের অবলম্বন-স্বরূপ বিধায় ব্রহ্মকেই প্রাণ ও জীবাত্মা পদে বরণ করা হইয়াছে, অথবা, উক্ত কারণে জীবাত্মা ও প্রাণকেই ব্রহ্ম বলিয়া গ্রহণ করা হইয়াছে। স্থতরাং ব্রহ্মোপাসনাই উদ্দেশু, কিন্তু শারীরিক প্রাণ অথবা জীবাত্মার উপাসনা উদ্দেশ্য নহে ॥ ৩১৷৷ [ইতি প্রথমাধ্যায়ে প্রথমঃ পাদঃ ] ৮০। যে প্রকার শৃঙ্খলা অবলম্বন করিয়া এই ৩১টি সূত্র রচিত হইয়াছে তাহার প্রতি মনোযোগ করা কর্তব্য। ভগবান সূত্রকার প্রথমেই “অৰ্থাতে ব্রহ্মজিজ্ঞাসা” এই সূত্র দ্বারা ব্রহ্মজিজ্ঞাসাকে বেদান্ত দর্শনের মূলদেশে স্থাপন করিয়া ব্ৰহ্মনিরূপণ করিতেছেন। শ্রীতিতে অনেক দেবতা ও পদার্থকে । ব্রহ্ম কহেন । ব্ৰহ্ম শব্দ মনুপ্রজাপতি, প্রাণ, মন, জীবাত্মা, শব্দ, মন্ত্র, অন্ন, ব্রাহ্মণ ইত্যাদি বহু প্রতিপাদক। অতএব মানব কোন ব্রহ্মের জিজ্ঞাস্থ হইবেন ? এই আশঙ্কা নিবারপার্থে দ্বিতীয় সূত্রে কহিলেন—“যম্মাদ্যস্ত যতঃ” । যিনি ঐ সকল দেবতা ও সকল মানব ও পদার্থের জন্ম, স্থিতি, ভঙ্গের কারণ তিনিই ব্রহ্ম। কিন্তু এ কথাতেও সকল সন্দেহ নিরাস হয় না। শ্রুতিতে অনেক স্থলে বেদকে নিত্য কহেন—“বাচ বিরূপনিত্যয়া”—বেদ নিত্য বাক্য। স্থতরাং কৰ্ম্মী বৈদিকগণ যদি এমন মনে করেন যে, ব্রহ্ম সকলেরই কারণ বটেন, কিন্তু ৰেদের কারণ নহেন ; কেন না বেদ অপৌরুষেয় অর্থাৎ তাহাকে কেহ স্বষ্টি করেন নাই ; এবং নিত্যকাল হইতে আছে। এই সন্দেহ দূর করিবার নিমিত্তে পরসূত্রে কহিলেন “শাস্ত্রয়োনিত্বাৎ” শাস্ত্র যে বেদ, তাহা নিত্য নহে,