পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদাস্ত সুত্র । כר তাহারও কারণ ব্রহ্ম। বেদ তাহার স্বষ্টির বহিভূত নহে । র্তাহার স্বরূপ-জ্ঞান-লাভার্থে বেদই কারণ অর্থাৎ প্রমাণস্বরূপ | স্বষ্টিকাল হইতে মানব যে যে প্রকারে তাহার জ্ঞান লাভ করিয়া আসিয়াছেন, তাহার নিদর্শন বেদেতেই অাছে। কিন্তু ইহাতে এই সন্দেহ করিতে পার যে, বেদের মধ্যে নানা দেবতার পূজা ও নানা যজ্ঞের আড়ম্বর আছে, তবে বেদ কেবল ব্রহ্মোপাসনার প্রমাণ কিরূপে হইতে পারে ? এই সন্দেহ দূর করিবার জন্য চতুর্থ সূত্রে কহিয়াছেন—“তত্ত্ব সমন্বয়াৎ” বেদে যত প্রকার উপাসনা আছে, সবই ব্রহ্মের উদ্দেশে। সমস্ত বেদের তাৎপৰ্য্য কেবল তুহ্মেতে। কোন রূপ-নাম-বিশিষ্ট দেবে, নরে, জীবাত্মাতে বা পদার্থে সে তাৎপৰ্য্য প্রয়োগ হইতে পারে না. , অতঃপর আর এক সন্দেহ উপস্থিত হইতেছে যে, যদি সাংখ্য-বাদীগণ এমত কহেন যে, হঁ। ব্রহ্ম জগতের কারণ বটেন এবং বেদেতে র্তাহার সংবাদ আছে বটে, কিন্তু সে ব্ৰহ্ম শব্দে অজ্ঞান প্রকৃতি । এ জগৎ কোন জ্ঞানবান কারণ হইতে স্বস্ট হয় নাই। সকল অচেতন স্বভাবের বিকার। ব্ৰহ্ম শব্দের বাচ্য সে জড়স্বরূপ প্রকৃতিই এই জগতের জন্ম, স্থিতি, ভঙ্গের কারণ এবং সমস্ত বেদের তাৎপৰ্য্য তাহাতেই। এই সন্দেহ নিবারণার্থে মহর্ষি বেদব্যাস পঞ্চম হইতে একাদশ সূত্র রচনা করিলেন। “ঈক্ষতেম শব্দং” ইত্যাদি । ਵਿস্বভাবের জগৎ-কর্তৃত্ব বেদে কহেন নাই। কারণ স্বষ্টির সঙ্কল্প করিবার নিমিত্তে চৈতন্য অপেক্ষা করে, তাহ অজ্ঞানান্ধ প্রকৃতিতে নাই। ইত্যাদি। এই প্রকারে নানা সন্দেহ দূর করিয়া মহৰ্ষি সূত্রকার জীবাত্মাকেই দ্বৈত ও উপাসক পদে স্থির রাখিয়া কেবল ব্রহ্মেরই উপাসনা স্থাপন করিয়াছেন। ।