পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१७ / বেদাস্ত প্রবেশ । শঙ্করাচাৰ্য্য প্রথম ও দ্বিতীয় সূত্রের যেরূপ ভাষ্য করিয়াছেন তাহার সামান্য তাৎপর্য্য মাত্র এস্থলে প্রদর্শন করিতেছি ঞ্জ । যাহারা ভক্ত আর উপনিষৎ এবং বেদান্তসূত্র আচার্য্যের নিকট পাঠ করিয়াছেন, ঐ ভাষ্যরূপ শোভাকর অরবিন্দের মকরন্দপানে তাহারদেরই অধিকার। আমরা ভাষাতে তাহার সামান্য ভাবও প্রকাশ করিতে পারি না । ৮৪ । কল্পসূত্র ও বেদান্তসূত্র গ্রন্থসকল অধিকাংশতঃ “অথ” শব্দের সহিত আরম্ভ হইয়াছে। এই “অৰ্থ” শব্দের অনেক অর্থ। যথা—অনন্তর, মঙ্গল, আরম্ভ, প্রশ্ন, অধিকার । দৃষ্টান্ত ;–আপস্তম্ব-প্রণীত সময়াচারিক সূত্রগ্রন্থের প্রথম সূত্র—“অথাতঃ সময়াচারিকান ধৰ্ম্মান ব্যাখ্যাস্যামং” এখানে অর্থ শব্দের অর্থ “অনন্তর” । অর্থাৎ আমি শ্রোত ও গৃহ ধৰ্ম্ম বিবরণের “অনন্তর” এইক্ষণ সময়াচারিক ধৰ্ম্মের ব্যাখ্যা করিব। গোভিলের গৃহসূত্রের আরম্ভে আছে “অথাতোগৃহকৰ্ম্মানু্যপদেশ্বামঃ” এখানে অৰ্থ শব্দে, বেদাধ্যয়নের অনন্তর। শাণ্ডিল্য সূত্রের প্রথমে আছে “অৰ্থাতোভক্তিজিজ্ঞাসা” এস্থলে অর্থ শব্দের অর্থ “অধিকার” অর্থাৎ ভক্তিসাধনের পূর্বে অন্য কোন সাধন প্রয়োজন করে না ; সুতরাং ভক্তিসাধন কোন সাধনের অনন্তর নহে, উহাতে স্বভাবতঃ সকলের অধিকার আছে। এইজন্য ওস্থলে “অথ” শব্দ “অধিকারার্থ” । মহৰ্ষি জৈমিনি-প্রণীত পূর্ব-মীমাংসায় প্রথমেই এই সূত্র আছে । “অথাতোধৰ্ম্মজিজ্ঞাসা’ অর্থাৎ বেদাধ্যায়নের অনন্তর

• আমার বক্তৃতা-পুস্তকে ‘ব্ৰহ্মজ্ঞান ও তাহার অপসিদ্ধান্ত বিষয়ক বক্তৃভার ১১ অবধি ১৫ ক্রম দেখ।