পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৯২

বেদাস্ত স্বত্র । - ཤ་ཤ ব্যক্তিতে ধৰ্ম্ম জিজ্ঞাসা, কি না, ধৰ্ম্ম-মীমাংসা-শাস্ত্র অনুশীলনের ও তদনুযায়ী ক্রিয়া কৰ্ম্ম করার অধিকার জন্মে। সুতরাং এখানেও অর্থ শব্দের “অনন্তর” অর্থ। ঐ রীতি অনুসারে শারীরক সূত্রের প্রথমেই আছে “অথাতোত্রহ্মজিজ্ঞাসা” । এখানেও “অথ” শব্দের “অনন্তর” অর্থ। পূজ্যপাদ শঙ্করাচাৰ্য্য এই সূত্রের ভাষ্যে যে বিস্তীর্ণ বিচার করিয়াছেন তাহার ংক্ষেপ তাৎপৰ্য্য এই – * * ৮৫ । “অথ” শব্দের অর্থ “অনন্তর” । “অতঃ” শব্দের অর্থ “হেতু” । “ব্রহ্মজিজ্ঞাসা” বাক্যের অর্থ (কৰ্ম্মে ষষ্ঠী সমাসে) “ব্রহ্মের জিজ্ঞাসা* । জ্ঞানের ইচ্ছার নাম “জিজ্ঞাসা”। স্বতরাং এই শাস্ত্রে ব্রহ্মই জিজ্ঞাসার বিষয় । এস্থানে ভাষ্যকার প্রথমেই প্রশ্ন করিয়াছেন যে “অথ” শব্দের অর্থ যদি “অনন্তর’ হইল আর আর “অতঃ” শব্দের অর্থ যদি “হেতু” হইল, তবে কি কি সাধনের অনন্তর ব্যক্তিতে ব্রহ্মজ্ঞানের ইচ্ছা হয় ? এবং কোন কোন বিষয়ই বা ব্ৰহ্মজ্ঞানের হেতুস্বরূপ ? যজ্ঞাদি ক্রিয়া কৰ্ম্ম করার অনন্তর কি ব্যক্তিতে ব্রহ্মজিজ্ঞাসার অধিকার জন্মে ? যজ্ঞাদি ধৰ্ম্ম কৰ্ম্মের জ্ঞানই কি ব্ৰহ্ম-জিজ্ঞাসার হেতু ? পূজ্যপাদ ভাষ্যকার এই পূর্বপক্ষ করিয়া পশ্চাৎ আপনিই তাহার এইরূপ সিদ্ধান্ত করিতেছেন। “ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসায়াঃ প্রাগপ্যধীতবেদান্তস্য ব্রহ্মজিজ্ঞাসোপপত্তেঃ” ব্ৰহ্ম-জিজ্ঞাসার পূর্বে ধৰ্ম্মজ্ঞান অপেক্ষিত বলা স্যায্য হয় না কারণ অনেক ব্যক্তিকে দেখা যায় যে, কিছুমাত্র যজ্ঞাদি কৰ্ম্ম অর্থাৎ পূজা অৰ্চা করে না, অথচ কেবল বেদান্ত পড়িয়াই ব্রহ্মজিজ্ঞাস্থ হয় । অতএব কৰ্ম্মের অনন্তর যে ব্ৰহ্ম-জিজ্ঞাসা হয় এমত কোন নিয়ম নাই এবং যজ্ঞাদি কৰ্ম্ম ব্ৰহ্ম-জিজ্ঞাসার