পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদান্ত প্রবেশ । نف۹ হেতু নহে। অতঃপর যজ্ঞাদি কৰ্ম্ম ও ব্রহ্মজ্ঞান এই উভয়ের মধ্যে যে অত্যন্ত প্রভেদ আছে, তাহার পাঁচটি হেতু প্রদর্শন করিতেছেন। প্রথমতঃ কৰ্ম্মের অঙ্গ জ্ঞান নহে ; দ্বিতীয়তঃ কৰ্ম্ম জ্ঞানের অধিকার উৎপাদক নহে, অর্থাৎ যেমন দীক্ষণীয় যাগের অধিকারী হইয়া অগ্নিষ্টোমের অধিকারী হয় তদ্রুপ যজ্ঞাদি ক্রিয়া কৰ্ম্মে অধিকারী হইলেই যে ব্রহ্মজ্ঞানে অধিকার জন্মে এমত নিয়ম নাই। তৃতীয়তঃ কৰ্ম্ম ও জ্ঞানের ফল ভেদ আছে, কৰ্ম্মের ফল অনিত্য-স্বৰ্গ কিন্তু জ্ঞানের ফল মোক্ষ। চতুর্থ জিজ্ঞাস্যের ভেদ আছে। অর্থাৎ মহৰ্ষি জৈমিনির প্রকাশিত পূর্ব-মীমাংসা-শাস্ত্রে যে ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম ংস্থাপিত হইয়াছে তাহ পুরুষ-ব্যাপার-সাধ্য ৫ ও অনিত্য ; আর উত্তরমীমাংসাতে জিজ্ঞাস্য যে ব্রহ্ম তিনি পুরুষ-বুদ্ধির অতীত অথচ নিত্য-অর্ন্তভব-সিদ্ধ। পঞ্চমতঃ দেব-ক্রিয়ার ও ব্ৰহ্মজ্ঞানের বিধিরও ভেদ আছে। ধৰ্ম্ম-বিধি পুরুষকে নিয়োগ করে অর্থাৎ ফল-শ্রীতি বর্ণন করত কৰ্ম্মানুষ্ঠানে প্রবৃত্তি দেয়, কিন্তু ব্রহ্ম-বিধি প্রত্যক্ষরূপে পুরুষকে ব্রহ্মজ্ঞান হৃদয়ঙ্গম করায় মাত্র, তদ্ভিন্ন কোন অপ্রত্যক্ষ ফলের অাশা দিয়া প্রবৃত্তি দেয় না । যদি ধৰ্ম্মজ্ঞানের ও ধৰ্ম্ম কার্য্যের অনন্তর ব্রহ্ম জিজ্ঞাসা না হইল্ল, তবে কাহার অনন্তর ব্রহ্ম জিজ্ঞাসা উদয় হয় ? শ্ৰীমান ভগবান ভাষ্যকার সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে, চারি প্রকারে চিত্তশুদ্ধি হইলেই ব্রহ্মজিজ্ঞাসায় প্রবৃত্তি জন্মে। ধৰ্ম্মজিজ্ঞস৷ হউক বা না হউক। সেই চারিপ্রকার চিত্তশুদ্ধি কি কি, তাহ।

  • এস্থানে বেদায়যায়ী ক্রিয়াকৰ্ম্মের অনুষ্ঠানকেই পুরুষ-ব্যাপার-সাধা বলা উদ্দেশ্য—বেদকে নহে। কেন না শাস্ত্রে বেদকে পুরুষ-ব্যাপায়ের অতীত অপৌরুষেয় কহিয়াছেন। k