বেদস্তি স্বত্র । - Գs কহিতেছেন। "নিত্যানিত্যবস্তুবিবেকঃ” কোন বস্তু অনিত্য আর কোন বস্তু নিত্য ; তাহা জানা প্রথম প্রকার। “ইহামুত্রার্থফলভোগবিরাগঃ” ইহলোকে ও পরলোকে যে সাধুকৰ্ম্মের বা উপাসনার ফল পাইব এরূপ নীচ কামনা ত্যাগ দ্বিতীয় প্রকার। “শমদমাদি’ অর্থাৎ অস্তরিক্রিদয়ের নিগ্ৰহ, বহিরিন্দ্রিয়ের দমন, সহ, ঈশ্বরে নিষ্ঠ ও শ্রদ্ধা এই তৃতীয় প্রকার। এবং “মুমুক্ষুত্বং” অর্থাৎ মুক্তির জন্য লালসা চতুর্থ প্রকার। মনে যখন এই সকল পবিত্র ভাব উপাজ্জিত হয় তখনই ব্রহ্ম জিজ্ঞাসীয় অনুরাগ জন্মে। ঐ সকল পবিত্রতাই ব্ৰহ্ম-জিজ্ঞাসার হেতু । অতঃপর ভাষ্যকার আরো কহেন যে, ব্ৰহ্মজ্ঞানের নিমিত্তে ব্ৰহ্মাশ্রিত অশেষ বস্তুর বিচার অকিঞ্চিংকর, যেহেতু ব্ৰহ্মই প্রধান বস্তু। তিনিই যখন জিজ্ঞাসার বিষয় হইতেছেন, তখন যে যে বিজয়ের জিজ্ঞাসা ব্যতীত ব্ৰহ্ম-জিজ্ঞাসা সম্পন্ন হয় না বলিয়া আপাততঃ বোধ হইতেছে, সে সমুদয়ই ঐ ব্ৰহ্ম-জিজ্ঞাসার মধ্যে ভুক্ত রহিল। সে সকল আর পৃথক রূপে ধরিবার প্রয়োজন নাই। “যথা রাজাসোঁগচ্ছতীত্যুক্তে সপরিবারস্য রাজ্ঞোগমনমুক্তং ভবতি তদ্বৎ’ যেমন রাজা গমন করিতেছেন বলিলে রাজার পার্ষদদিগেরও গমন বুঝায় তদ্বৎ । শ্রীতিতে আছে “তদ্বিজিজ্ঞাসস্ব তদৃব্রহ্মেতি” উাহাকেই বিশেষরূপেজানিতে ইচ্ছা কর তিনি ব্রহ্ম।*
- জীমান শঙ্করাচাৰ্য্য যাগ, যজ্ঞ, ক্রিয়াকলাপ, প্রায়শ্চিত্তকৰ্ম্ম, অনশনাদিব্ৰত প্রভৃতি কৃচ্ছ--সাধন সমূহকে ব্রহ্মজিজ্ঞাসার হেতুরূপে গ্রহণ করেন নাই। কেবল পাশ্চাত্য বাৰ্ত্তিক-কার গণের কেহ কেহ তাহা স্বীকার করিয়াছেন মাত্র । সদানন্দ যোগীজের বেদান্তসারেও ঐ সকল কৰ্ম্মকে ব্ৰহ্মজ্ঞানের অধিকারপ্রদ ཧྥུ་ཀཱ བི་ཝཱ་ར་ཎ་ তাহার কারণ এই যে, উক্ত পরমহংসের ক্রিয়া দ্বারাই চিত্তশুদ্ধি হইয়াছিল । r - ,
