পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Եe বেদান্ত প্রবেশ । ৮৬ । প্রথম সূত্রে ব্ৰহ্ম-জিজ্ঞাসার কর্তব্যতা উপদেশ দিয়া ভগবান সূত্রকার বেদব্যাস দ্বিতীয় সূত্রে কহিয়াছেন “জন্মাদ্যস্য যতঃ” । র্যাহা হইতে এই জগতের জন্ম, স্থিতি, ভঙ্গ হয় তিনি ব্রহ্ম। পূজ্যপাদ শঙ্করাচাৰ্য্য এই সূত্রের ভাষ্যে আপনার যেরূপ অভিপ্রায় লিখেন তাহা এই – “জন্ম’ শব্দের অর্থ উৎপত্তি। ‘আদি’ শব্দে “প্রভূতি” । অর্থাৎ জন্ম প্রভূতি, কি না জন্ম, স্থিতি, ভঙ্গ। “জন্মনা লন্ধাত্মকস্ত ধৰ্ম্মিণঃ স্থিতিপ্রলয়সম্ভবাৎ” (ইতি শাঙ্কর ভাষ্য) জন্ম ব্যতিরেকে জীবের স্থিতি ও প্রলয় সম্ভব হয় । “অস্ত” শব্দের অর্থ এই জগৎ । “ষতঃ” শব্দের অর্থ যাহা হইতে । অর্থাৎ অনেক কর্তৃ ভোক্ত (কি না জীব) সংযুক্ত অচিন্ত্যরচনারূপ এই জগতের জন্ম, স্থিতি, ভঙ্গ যে সর্বজ্ঞ, সৰ্ব্বশক্তি, সৰ্ব্বকারণ হইতে সম্পন্ন হইতেছে তিনিই ব্রহ্ম। শ্ৰীমান শঙ্করাচাৰ্য্য এইরূপে সূত্রের অর্থ করিয়া তৎসম্বন্ধে আপন৷ আপনি নানাপ্রকারের পূর্বপক্ষওতাহার সিদ্ধান্ত করিয়াছেন। তাহার অতি সংক্ষেপ বিবরণ প্রদান করিতেছি । ৮৭। অচেতনপ্রধান,* অণু, অভাব, জীব, স্বভাব, হইতে ঐ প্রকার অচিন্ত্য-রচনা জগতের উৎপত্তি, স্থিতি, লয় কখনই সম্ভব হইতে পারে না। ফলে এইরূপ যুক্তি সূত্ৰেতে নাই। যেহেতু বেদান্ত-বাক্যরূপ (উপনিষৎ-বাক্যরূপ) পুষ্প-গ্ৰথনের জন্যই সূত্র, যুক্তি-গ্ৰথন জন্য নহে। অতএব সূত্র সকল অবলম্বন করিয়াই বেদান্ত-বাক্যের (অর্থাৎ উপনিষৎবাক্যের ) বিচার করা গিয়া থাকে। বিচার পূর্বক বাক্যার্থ ক্ষ অজ্ঞান প্রেকৃতি।ভচক্রমে যে প্রশ্ন আছে, শঙ্কর এখানে তাহার মীমাংসা করিলেন । - +