পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮২ বেদান্ত প্রবেশ । ৮৯। বেদান্তশাস্ত্র যেমন জ্ঞানকাওঁীয় শ্রুতি সমূহের মীমাংসা, সেইরূপ ইহার প্রণীত বিষয় সকল নানা আচার্যের ব্ৰহ্মজ্ঞান প্রণয়নের উপকরণ স্বরূপ । কত আচাৰ্য্যই যে বেদান্তসূত্রের কত প্রকার ভাষ্য ও টীকা করিয়াছেন এবং এ সম্বন্ধে কত জ্ঞানী লোকই যে কত পুস্তক লিখিয়াছেন তাহার সংখ্যা নাই । সেই সমস্ত গ্রন্থ এইক্ষণে সাধারণতঃ বেদান্তদর্শন নামে প্রসিদ্ধ আছে। ফলে বেদান্তসূত্রের যত ভাষ্য আছে, তন্মধ্যে অদ্বৈতবাদ-প্রকাশক শাঙ্কর-ভাষ্যই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট । তৎপরে,বিশিষ্টাদ্বৈত-মত-প্রতিপাদক রামানুজভাষী,দ্বৈত-মতপ্রতিপাদক মাধবাচার্য্যের ভাষ্য এবং শুদ্ধাদ্বৈত-মত-প্রচারক বল্লভাচার্য্যের ভাষাই প্রধান-পক্ষে গণনীয়। শারীরক সূত্ৰসকল যেরূপ সংক্ষিপ্ত এবং শ্রীতি সকল সহসা যেরূপ নানা ভাবের বোধ হয়, তাহাতে আচাৰ্য্যগণ যে দ্বৈত, অদ্বৈত প্রভৃতি নানা মতে বেদান্তভাষ্য রচনা করিবেন তাহা আশ্চর্য্য নহে । ফলে তন্মধ্যে অদ্বৈত-প্রতিপাদক সমস্ত ভাষ্যেই গুঢ়ভাবে দ্বৈতবাদই রহিয়াছে। না বুঝিয়া অনেকেই তাহার উপরিভাগ হইতে নীরস অদ্বৈতবাদ গ্রহণ করিয়া এবং অনেকে তাহার ঐরূপ বাহ্য শুষ্কত দৃষ্টে অশ্রদ্ধাবশতঃ তাদৃশ শাস্ত্র সকলকে একেবারে ত্যাগ করত তদগর্ভনিহিত অমৃতরসে বঞ্চিত হয়েন। শ্ৰীমান পূজ্যপাদ শঙ্করাচার্য্যই অদ্বৈত মতের প্রধান প্রচারক । আজ কাল লোকের অদ্বৈতবাদ সম্বন্ধে যাহা কিছু পূজি, শঙ্কর ও র্তাহার শিষ্যগণের কৃত ভাষ্য ও টীকা সকলই তাহার মূলধন। কিন্তু আক্ষেপের বিষয় যে, তাদৃশ অদ্বৈতমতাভিমানী লোক সকল অদ্বৈত জ্ঞানের কিছুমাত্র রস পান নাই। র্তাহারা ও র্তাহাদের বিরোধী-পক্ষ দ্বৈতবাদীরা উক্ত মতকে যেরূপ শুস্কভাবে গ্রহণ