পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

byS বেদান্ত প্রবেশ । ৯১ শঙ্করাচার্য্যের দার্শনিকও পারমাধিক মত সাৰ্দ্ধপঞ্চশত ব্যাস-সূত্রের ভাষ্যেতেই অধিকাংশ প্রকাশ পাইয়াছে * । মহর্ষি ব্যাসদেবের মূল সূত্র সকলের যে আদিম সরল ভাব, যদিও তাহা শঙ্কর অনেক স্থানে রক্ষা করিয়াছেন, কিন্তু অনেক স্থলে আবার তিনি তাহ রক্ষা করার নিমিত্তে কৰ্ম্মী সাংখ্য, কাণাদ, বৌদ্ধ ও চাৰ্ব্বাকদিগের সহিত ঘোরতর বিচার উত্থাপিত করিয়া স্বীয় ভাষ্যকে, এতাদৃশ ছর্বোধগম্য করিয়াছেন যে, সেই সকল বাদীদিগের মত কিছু কিছু না জানিলে তাহার বিচার সমূহ ভেদপূর্বক তাহার মত উদ্ধার করা সহজে সুম্ভবে না। ইহঁ। ব্যতীত, জ্ঞানকাওঁীয় শ্রুতি সকলের মীমাংসার্থেই বেদান্তসূত্র। স্থতরাং শঙ্কর প্রত্যেক সূত্রের ভাষ্যে যে সকল শ্রীতি প্রয়োগ করিয়াছেন, মূল উপনিষদে, ব্রাহ্মণে ও মন্ত্রবর্ণে তাহার কিরূপ প্রয়োগ আছে, তাহা না জানিলে, শাঙ্কর-ভাষ্য বিশদরূপে বুঝা যায় না। অতএব শঙ্করের মত জানিতে হইলে অগ্রে শ্রীতির মৰ্ম্মজ্ঞ এবং সাংখ্য প্রভূতি বাদিগণের মত সকল জ্ঞাত হইতে হইবেক । যাহাতে সেই সকল বার্তা কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ জানা যায়, এ নিমিত্তে আমি এই সংগ্রহে তৎসমুদয়ের সংক্ষেপ বৃত্তান্ত দিয়াছি। ৯২। বর্তমানকালের প্রয়োজন অনুসারে শঙ্করের যে সকল দার্শনিক ও পারমার্থিক মত জানা আমাদের উচিত, তাহা আমি তাহার ভাষ্য হইতেই উদ্ধার পূর্বক নিবেদন করিব। কিন্তু ইহা বলা বাহুল্য যে, তাহার বিচার-প্রণালীর সহস্ৰ সূক্ষমতা সত্তেও তাহার মত প্রায়ই মূল সূত্র ও শ্রুতির অনুযায়ী। ফলে র্তাহার ভাষ্যে র্তাহার যে সকল সূক্ষ দার্শনিক

  • উপনিষৎ সমূহের ও গীতার ভাষ্যেতেও তাহার মত প্রকাশিত আছে।