পাতা:বেদ মানিব কেন?.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS বেদ মানিব কেন ? কেবল জানা নাই—এই মাত্রই জানা আছে। ঈশ্বরপ্রোক্ত বা অরচিত বলিয়া প্রসিদ্ধি আর রচনাকৰ্ত্তার বিষয় না জানা ত এক কথা নহে। বেদ কিন্তু ঈশ্বরপ্রোক্ত বা অরচিত বলিয়া প্রসিদ্ধই আছে, বেদমধ্যেই এ কথা স্পষ্টভাবে উক্ত রহিয়াছে। অতএব গান ও গাথাপ্রভৃতির ন্যায় বেদ হইতে পারিল না । গানগাথার কর্তৃত্ব সেই গানগাথার মধ্যে অনুক্ত এবং লোকমধ্যে বিস্তৃত, বেদের কর্তৃত্বাভাবই বেদমধ্যে উক্ত বলিয়া প্রসিদ্ধ ; তাহার কর্তৃত্ব গানগাথার কর্তৃত্বের ন্যায় বেদে অমুক্ত বা বিস্তৃত কর্তৃত্ব নহে। অতএব গানগাথাপ্রভৃতির স্তায় বেদেরও রচনাকর্তা আছে বা ছিল—এ কথা বলা সঙ্গত হয় না। এস্থলেও পূর্বের ন্যায় বিষমকৃষ্টান্ত দোষ হইল । যদি বলা হয়—বেদ নিজের নিত্যত্ব বা অরচিতত্ব নিজে বলিলে তাহার প্রামাণ্য কিরূপে সিদ্ধ হবে ? তাহা হইলে দুষ্ট লোকের কথায় দুষ্টকে সাধু বলিয়া বিশ্বাস করিতে হয়। চাৰ্ব্বাকগণ বেদকে ধূৰ্ত্ত ব্রাহ্মণগণকর্তৃক রচিত বলিতে পশ্চাৎপদ হয় নাই। এ কথা মহাভারতে উক্ত হইতে দেখা যায়। অতএব বেদমধ্যে বেদ ঈশ্বরপ্রোক্ত অর্থাৎ অরচিত ভাষা বলিয়া কথিত হইলেও তাহার প্রামাণ্য নাই । এরূপ প্রামাণ্য বুদ্ধিমান ব্যক্তি কখনই বিশ্বাস করিতে পারেন না । কিন্তু এ কথাও সঙ্গত নহে । কারণ, ভাষা যদি শিক্ষা না