পাতা:বেদ মানিব কেন?.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬ বেদ মানিব কেন ? র্তাহার পক্ষে রচনা সম্ভবপরই নহে। ইহা পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে । এজন্য প্রতি স্বষ্টিতে প্রথম মানব যে ভাষা শিক্ষা করে, সে ভাষা যদি আত্মপরিচয় দেয়, তাহা হইলে তাহাকেই বলিতে হইবে যে, “আমি নিত্য অরচিত অনাদি ভাষা” । সে ভাষার পরিচয় সেই ভাষামধ্যেই থাকা আবশ্বক। তাহার পরিচয় কাহারও দ্বারা রচনা করিয়া দেওয়া আবশ্যক হইতে পারে না। ভাষাশিক্ষণ আবশ্ব্যক হইলেই অরচিত নিত্য ভাষা আবশ্যকই হয় । ঈশ্বরে এই অরচিত ভাষা এবং রচিত ভাষা—সকলই আছে। ভূত ভবিষ্যং বৰ্ত্তমান সকল কালের, সকল ভাষাই আছে ; ঈশ্বরে নাই—এমন কিছুই নাই— হইতেও পারে না। স্বষ্টির প্রারম্ভে জীবহিতের জন্য যদি ঈশ্বরকে মানবরূপ ধারণ করিয়া প্রথম মানবকে ভাষা শিক্ষা দিতে হয়, তাহা হইলে তিনি সেই অরচিত নিত্য ভাষা বেদই শিক্ষণ দিবেন । ইহাই ত সম্ভবপর, ইহাই ত সঙ্গত । যেহেতু সৰ্ব্বজ্ঞ ঈশ্বরের পক্ষে ভাষারচনা আবশ্বক হয় না, সম্ভবপরও হয় না। আর জীবহিতের জন্য সেই অরচিত ভাষার প্রমাণ্যের পরিচয় ভাষার দ্বারা দিতে হইলে প্রথমে তাহা সেই অরচিত ভাষাই দিবে। যেহেতু জীবকে জ্ঞান দান করাই ভাষার উদ্দেশ্য, আর প্রামাণ্যবোধ না হইলে