পাতা:বেদ মানিব কেন?.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

×ა, বেদ মানিব কেন ? বিরুদ্ধ কথাই বহু আছে। আর তাহদের বেদত্ব অর্থাৎ সার্থকত্বরক্ষার জন্য মীমাংসকগণ তাহাদিগকে অর্থবাদ বলিয়া গণ্য করিয়া স্বার্থে তাৎপর্য্য নাই, কিন্তু কোন বিধি নিষেধের প্রশস্ত্য বা নিন্দাদিবিধানার্থ বলিয়া তাহদের পরার্থে তাৎপৰ্য্য বলিয়া স্বীকার করেন। এখন এইরূপে যে তাৎপৰ্য্যনির্ণয় তাহ রচনাকৰ্ত্তা না থাকিলে কিরূপে সম্ভবপর হয় ? বক্তার অভিপ্রায়ই ত তাৎপর্য্য। সুতরাং বেদ অপৌরুষেয় বলা যায় কিরূপে ? তাহা হইলে বলিতে হইবে, বাক্যের তাৎপৰ্য্য থাকিলেই যে তাহ রচিত বলিতে হইবে—এমন কোন নিয়ম হইতে পারে না । ভাষা শিক্ষাই করিতে হয়—ইঙ্গ যখন দেখা যাইতেছে, তখন অরচিত ভাষা অবশ্যই স্বীকার্য্য। আর শব্দের সহিত তাহার অর্থের সম্বন্ধ যদি ঈশ্বরের জ্ঞাত হয়, সুতরাং তাহা যদি নিত্য হয়, তাহা হইলে এক পদার্থের সহিত অপর পদার্থের অম্বয়ও তদ্রুপ নিত্য হইবে । আর তাহা হইলে, সেই অম্বয়ের ঘটক যে তাৎপৰ্য্য তাহাও তদ্রুপ নিত্য হইবে । অতএব বাক্যের }াৎপর্য্য থাকায় যে বাক্যমাত্রেই রচিত বলিতে হইবে, তহঁ সঙ্গত সিদ্ধান্ত নহে । নদি বলা যায়, বেদমধ্যে শাখাভেদে দেখা যায়—যথেষ্ট পাঠভেদ রহিয়াছে, ক্রিয়ামধ্যেও ব্যতিক্রম হইয়াছে। এইরূপ