পাতা:বেলা অবেলা কালবেলা - জীবনানন্দ দাশ.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: לל সেখানে নীলকণ্ঠ পাখি ফসল সূর্য নেই, ধূসর আকাশ,—একটি শুধু মেরুন রঙের গাছের মর্মরে আজ পৃথিবীর শূন্ত পথ ও জীবনবেদের নিরাশা তাপ ভয় জেগে ওঠে ;–এ-সুর ক্রমে নরম—ক্রমে হয়তে আরো কঠিন হতে পারে ; সোফোক্লেস ও মহাভারত মানবজাতির এ-ব্যর্থতা জেনেছিল ; জানি ; আজকে আলে| গভীরতর হবে কি অন্ধকারে । সুর্য নক্ষত্র নারী তোমার নিকট থেকে সর্বদাই বিদায়ের কথা ছিল সব চেয়ে আগে ; জানি আমি। সে-দিনও তোমার সাথে মুখ-চেনা হয় নাই । তুমি যে এ-পৃথিবীতে রয়ে গেছ আমাকে বলে নি কেউ। কোথাও জলকে ঘিরে পৃথিবীর অফুরান জল রয়ে গেছে ;– যে যার নিজের কাজে আছে, এই অনুভবে চলে শিয়রে নিয়ত স্ফীত সূর্যকে চেনে তারা ; আকাশের সপ্রতিভ নক্ষত্রকে চিনে উদীচীর কোনো জল কী ক’রে অপর জল চিনে নেবে অন্য নিঝরের ? তবুও জীবন ছুয়ে গেলে তুমি – আমার চোখের থেকে নিমেষনিহত সূর্যকে সরায়ে দিয়ে। সরে যেত ; তবুও আয়ুর দিন ফুরোবার আগে নব-নব স্বর্যকে কে নারীর বদলে ছেড়ে দেয় ? কেন দেব ? সকল প্রতীতি উৎসবের চেয়ে তবু বড়