একদিন ‘ডেইলি টেলিগ্রাফ’ পত্র লিখিল:—
“নির্জ্জন আফ্রিকার নীরবতা এতদিনে ভঙ্গ হইবে। ছয় সহস্র বর্ষেও যে সন্ধান লাভ ঘটে নাই, এখন তাহা ঘটিবে। নীলনদীর জন্মস্থান আবিষ্কারের চেষ্টা এতদিন একান্ত অসম্ভব ও বাতুলের চেষ্টা বলিয়া পরিচিত ছিল। দীর্ঘ দিনের পরিশ্রমে অন্ধকার অরণ্যতুল্য আফ্রিকার তিনটিমাত্র প্রবেশ-পথ মুক্ত হইয়াছিল। ডেন্হাম্ ও ক্ল্যাপার্টনের আবিষ্কৃত পথে ডাক্তার বার্থ সুদানে গমন করিয়াছিলেন, ডাক্তার লিভিংস্টোন বহু আয়াসে উত্তমাশা অন্তরীপ হইতে জেম্বেজী পর্য্যন্ত গিয়াছিলেন এবং কাপ্তান গ্রাণ্ট ও কাপ্তান স্পিক্ একটি ভিন্ন পথ অবলম্বন করিয়া আফ্রিকার কয়েকটি হ্রদ আবিষ্কার করিয়াছিলেন। এই তিনটি পথ যে স্থানে মিলিত হইয়াছে, তাহাই আফ্রিকার কেন্দ্রস্থল। ফার্গুসন্ সত্বরই আফ্রিকার এই ত্রিবেণী-সঙ্গমে যাত্রা করিবেন। তিনি স্থির করিয়াছেন যে, ব্যোমযানে আরোহণ করিয়া আফ্রিকার পূর্ব্ব প্রান্ত হইতে পশ্চিম প্রান্ত পর্য্যন্ত গমন করিবেন। আমাদের সংবাদ সত্য হইলে, তিনি জান্জিবার দ্বীপে বেলুনে উঠিয়া বরাবর পশ্চিম মুখে গমন করিতে মনস্থ করিয়াছেন। এই যাত্রা যে কোথায় এবং করূপে শেষ হইবে, একমাত্র ভগবান্ই তাহা বলিতে পারেন।”
‘ডেইলি টেলিগ্রাফে'র প্রবন্ধ প্রচারিত হইবামাত্র দেশমধ্যে একটা বিষম হৈ চৈ পড়িয়া গেল। অনেকেই বলিল “এ অসম্ভব কথা—এমন করে’ কি কখনো বেলুনে যাওয়া যায়! ফার্গুসন্