টার্গুসন্ কেহই নাই। ‘ডেইলি টেলিগ্রাফে’র সম্পাদক অমনি একটা হুজুগ তুলে’ একবার আমেরিকার মাথা খেয়েছিলেন, আবার দেখছি ইংলণ্ডেরও মাথা খেতে বসেছেন!” তখন অন্যান্য সংবাদপত্রে 'ডেইলি টেলিগ্রাফ'কে বিদ্রূপ করিয়া নানাবিধ প্রবন্ধ বাহির হইতে লাগিল। ফার্গুসন্ নীরব রহিলেন।
কিছুকাল পর যখন সকলে শুনিল যে, সত্য সত্যই লায়ন্ কোম্পানী ফার্গুসনের বেলুন-প্রস্তুতের ভার লইয়াছেন এবং ইংরাজ-গবর্ণমেণ্ট ‘রেজলিউট’ নামক অর্ণবপোতখানি ফার্গুসনের ব্যবহারের জন্য নিযুক্ত করিয়াছেন, তখনই সকল সন্দেহ দূর হইয়া গেল। চতুর্দ্দিকে ধন্য ধন্য রব উঠিল।
ইংলণ্ডের নানাস্থানে তখন বাজী ধরা আরম্ভ হইয়া গেল। সত্য সত্যই ফাুর্গুসন্ নামে কেহ আছেন কি না, সে জন্য বাজী ধরা হইল; এমন একটা অসম্ভব ও দুঃসাহসিক পর্য্যটন ব্যাপারে সত্যই কেহ প্রবৃত্ত হইবে কি না, তাহার উপর বাজী চলিল; পর্য্যটন সফল হইবে কি না, ফার্গুসন্ আর ইংলণ্ডে ফিরিতে পারিবেন কি না, তাহার জন্যও বাজী ধরা হইতে লাগিল।
প্রতিদিন দলে দলে লোক আসিয়া ফার্গুসন্কে নানাবিধ প্রশ্ন করিতে লাগিল, কেহ কেহ বা তাঁহার সহযাত্রী হইবার জন্যও ইচ্ছা প্রকাশ করিল। তিনি প্রত্যেক প্রশ্নের সদুত্তর দিয়া সকলকে ফিরাইয়া দিলেন। কাহাকেও সঙ্গে লইতে সম্মত হইলেন না।