দেখ্ছি আমি যদি বাধা না দি, তা' হ'লে ফার্গুসন্ কবে বা চন্দ্রলোকেই যাত্রা করবে!”
কেনেডি আর বিলম্ব করিলেন না। বন্ধুর জন্য একান্ত চিন্তিত হইয়া সেই রজনীতেই লণ্ডন যাত্রা করিলেন। প্রভাতে ফার্গুসন্ যখন নিজের কক্ষে চিন্তামগ্ন ছিলেন, কেনেডি তখন অতিমাত্র ব্যস্ত হইয়া দ্বারে ঘন ঘন করাঘাত করিতে লাগিলেন।
রুদ্ধ দ্বার মুক্ত করিয়া ফার্গুসন্ বিস্মিত হইয়া কহিলেন, “এ কি! ডিক্ যে?” ফার্গুসন্ বন্ধুকে ডিক্ বলিয়াই ডাকিতেন। মস্তকের টুপি খুলিয়া কেনেডি কহিলেন,
“হাঁ আমিই।”
“এখন ত শিকারের সময়। শিকার ছেড়ে লণ্ডনে যে?”
“কি করি! একজন পাগলকে ঠাণ্ডা করতে এসেছি।”
“পাগল? কে সে? ব্যাপার কি?”
এক খণ্ড ‘ডেইলি টেলিগ্রাফ' পত্রিকা ফার্গুসনের সম্মুখে ধরিয়া কেনেডি কহিলেন:—
“এতে যা লেখা আছে তা' কি সত্য?”
“ও তুমি ওই কথা বলছ? কাগজে রোজ রোজ কত আজগুবি খবরই বেরুচ্চে! তা দাঁড়িয়ে রইলে যে! অত ব্যস্ত কি—বসো না।”
“না আমি বোস্ব না। সত্যই কি তুমি বেলুনে যাবে?”
“নিশ্চয়ই যাব। যাত্রার সব বন্দোবস্তও বেশ ধীরে ধীরে