বক্তৃতা শেষ হইতে না হইতেই ফার্গুসনের জয়নিনাদ ধ্বনিত হইতে লাগিল। তৎক্ষণাৎ চাঁদা সংগৃহীত হইতে আরম্ভ হইল। দেখিতে দেখিতে তাঁহার অভিযানের জন্য ৩৭৫০০ মুদ্রা সংগৃহীত হইয়া গেল। ভৌগোলিক সমিতির একজন সদস্য সভাপতিকে কহিলেন:
“ডাক্তার ফার্গুসন্ কি একবার আমাদের সামনে বাহির হ’বেন না?”
“কেন হবেন না? সকলের ইচ্ছা হ’লে তিনি এখনই এখানে আসতে পারেন।”
সভাগৃহের চতুর্দ্দিকে হইতে সকলেই বলিতে লাগিল “আমরা ফার্গুসন্কে চাই।” একজন কহিল, “ফার্গুসন্ নামে কোন লোকই নাই—ওসব বাজে কথা।” আর একজন বলিল “বুঝ্তে পারছ না, এ সবই ফাঁকি।”
তখন সভাপতি বলিলেন, “ডাক্তার ফার্গুসন্ আপনি অনুগ্রহ করে' একবার বাহিরে আসুন।”
অবিলম্বে চল্লিশবর্ষবয়স্ক ধীর স্থির গম্ভীর একজন ভদ্রলোক গৃহমধ্যে প্রবেশ করিলেন। শ্রোতৃবৃন্দ আনন্দে করতালি দিতে লাগিল। ফার্গুসন্ বক্তার মঞ্চোপরি আসিয়া দণ্ডায়মান হইলেন। সকলে দেখিল তাঁহার দেহ সুগঠিত, শরীর সুদৃঢ়, নাসিকা দীর্ঘ, নয়নদ্বয় কোমল ও তীক্ষ্ণবুদ্ধিব্যঞ্জক। তাঁহার বাহুযুগল দীর্ঘ, চরণদ্বয় দেখিলেই বুঝিতে পারা যায় যে, তিনি পদব্রজে অতি দীর্ঘ পথ পর্য্যটন করিতেও কাতর নহেন।