পাতা:বেল্লিক রামায়ণ - কালীপ্রসন্ন বিদ্যারত্ন.pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বেল্লিক রামায়ণ।
১৫৩

মুখনাড়া কেবলি কেবলি গালাগালি।
মারিতে কাটিতে যায় দশ কথা বলি॥
অথচ খাইতে পায় শুধু পান্তাভাত।
আমানি কিঞ্চিৎ আর দুটো শাকপাত॥
ভাল অন্ন দিনেকের তরে নাহি মিলে।
জন্মিল পেটের পীড়া—বাড়িল ত পিলে॥
অতি কৃশ কলেবর ম’রে বুঝি যায়।
এমনি হইল ভাব কে রাখে তাহায়॥
দুঃখে পড়ে পায়ে ধরে কাঁদে ব্রাহ্মণের।
ব্রাহ্মণ শুনে না কিন্তু কথা গরীবের॥
বলে,—“নাক রাখাে আগে, যাও তার পর।
করেছ কড়ার কিসে যাবে শীঘ্রতর॥
কি করে প্রাণের ভয়ে ঘুঘু কাটে নাক্।
আনন্দে ব্রাহ্মণ দিল বাজাইয়ে শাঁক॥
নাককাটা অবস্থায় ঘুঘু এল ঘরে।
জিজ্ঞাসিল দশজন নাক কোথাকারে॥
কাঁদিয়ে কহিল ঘুঘু যত বিবরণ।
বড়ই দুঃখিত ফাঁদ হৈল মনে মন॥
ফাঁদ কহে, “ভাল দাদা থাক তুমি ঘরে।
আমি যাব এইবার চাকরীর তরে॥
সেই সে ব্রাহ্মণ-বাড়ী হইব চাকর।
দেখিব কেমন সেই সুচতুর নর॥”