পাতা:বেল্লিক রামায়ণ - কালীপ্রসন্ন বিদ্যারত্ন.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বেল্লিক রামায়ণ।

সেই রাতে ব্রাহ্মণের ছেলে কাঁদে ভারী।
হয়েছে পেটের পীড়া নাহি সহে দেরী॥
‘হাগিব’ বলিয়ে ঘন কাঁদিতে লাগিল।
ফাঁদেরে হাগাতে তবে ব্রাহ্মণ কহিল॥
উঠে ফাঁদ তাড়াতাড়ি হাগাইতে যায়।
পথে কিন্তু গিয়ে বড় দৌরাত্ম্য লাগায়॥
বলে, “দেখ ছোঁড়া যদি হাগিবি এখন।
নির্যস্ করিব তােরে মারিয়ে নির্দ্দম॥”
ভয়েতে না হাগে ছেলে হাগা টিপে রয়।
ফাঁদ গিয়ে চুপিচুপি শয্যায় শোওয়ায়॥
কহিল ব্রাহ্মণ, “হাগা হয়েছে খােকার?
ফাঁদ কহে, “অতিরিক্ত হেগেছে দুবার॥”
কিন্তু ক্ষণপরে খোকা পুন ‘হাগি’ বলে।
পুনঃ ডাক পাড়ে প্রভু ‘ফাঁদ’ ‘ফাঁদ’ বােলে॥
পুনঃ ফাঁদ হাগাইতে চলিল তাহায়।
পুনশ্চ পথের মাঝে ভয় সে দেখায়॥
বেজায় ভয়েতে খোকা পুনঃ হাগা চাপে।
আবার শােয়ায় ফাঁদ তারে চুপে চুপে॥
বালক চাপিবে হাগা, কিন্তু কতক্ষণ।
মিনিট দু তিন পরে পুনশ্চ ক্রন্দন॥
ব্রাহ্মণ রাগিয়ে বলে, “দেত গলা টিপে।
এমন বেয়াড়া ছেলে, মার গলা চেপে॥”