পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বৈকুণ্ঠের খাতা।

অজ্ঞানসুলভ অহঙ্কারে কল্পনা করিতেছি এই ভগ্ন ভেলাই সেই অর্ণবতরী, আমরাই সেই আর্য্য, এবং আমাদের গ্রামের এই জীর্ণপত্রকলুষিত জলকুণ্ডই সেই অতলস্পশ সাধনসমুদ্র।

ঈশানের প্রবেশ।

 ঈশান। বাবু, খাবার এসেছে।

 বৈকুণ্ঠ। তাঁকে একটু বস‍্তে বল!

 ঈশান। বস‍্তে বল্‌ব কাকে? খাবার এসেছে।

 কেদার। তাহলে আমি উঠি। ওর নাম কি, স্বার্থপর হয়ে আপনাকে অনেকক্ষণ বসিয়ে রেখেছি—

 বৈকুণ্ঠ। কেন, আপনি উঠ‍্চেন কেন?

 ঈশান। নাঃ, ওঁর আর উঠে কাজ নেই! তামাম রাত ধরে তোমার ঐ লেখা শুনুন! (কেদারের প্রতি) যাও বাবু, তুমি ঘরে যাও। আমাদের বাবুকে আর ক্ষেপিয়ে তুলোনা!

(প্রস্থান)

 কেদার। ইনি আপনার কে হন?

 বৈকুণ্ঠ। ঈশেন, আমার চাকর।

 কেদার। ওঃ, ওর নাম কি, এ'র কথাগুলি বেশ পষ্ট পষ্ট।

 বৈকুণ্ঠ। হাহাহাহা! ঠিক বলেচেন। তা কিছু মনে করবেন না—অনেকদিন থেকে আছে—আমাকে মানে টানে না!