বৈকুণ্ঠ। অবি, হাস্চিস্ যে! কেন, আমাকে কেউ ঠকিয়েছে বল্তে পারিস্? সে দিন সেই স্বরসূত্রসার কিন্লেম তোরা নিশ্চয় মনে করেছিস্ ঠকেছি—কিন্তু সঙ্গীত সম্বন্ধে অমন প্রাচীন বই আর আছে? হীরে দিয়ে ওজন করলেও ওর দাম হয় না। তিনশো টাকায় ত অমনি পেয়েছি।
অবি। ও বই সম্বন্ধে আমি কি কিছু বলেছি?
বৈকুণ্ঠ। তাতেইত বুঝতে পারলুম তোরা মনে মনে করচিস্ বুড়ো ঠকেছে। নইলে একবার জিজ্ঞাসা কর্তে হয়, একবার নেড়েচেড়ে দেখ্তে হয়—
অবিনাশ। ওর আর আছে কি দাদা, নাড়তে চাড়তে গেলে যে গুঁড়িয়ে ধূলো হয়ে যাবে!
বৈকুণ্ঠ। সেইত ওর দাম! ও ধুলো কি আজকের ধুলো! ও ধুলো লাখ্টাকা দিয়ে মাথায় রাখতে হয়!
অবিনাশ। দাদা, এ মাসে আমাকে পঁচাত্তর টাকা দিতে হবে।
বৈকুণ্ঠ। কেন কি করবি? (অবিনাশ নিরুত্তর) নিলেম থেকে বিলিতি গাছ কিন্বি বুঝি? ঐ তোর এক গাছ-পোঁতা বাতিক হয়েছে, দিনরাত যত রাজ্যের উড়েমালী নিয়ে কারবার! কত মিথ্যে গাছের নাম করে কত লোক যে তোমাকে ঠকিয়ে নিয়ে যাচ্চে তার আর সংখ্যে করা যায় না।— অবু তুই বিয়ে থাওয়া করবিনে।