পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
বৈকুণ্ঠের খাতা।

দেখুন্। —(স্বগত) বেটা চীনেম্যানের কাছ থেকে ত পুরাণোজুতোর হিসেব চেয়ে এনেছি!

 বৈকুণ্ঠ। তাইত! এ যে আদৎ চীনে ভাষা দেখ্‌চি। কিচ্ছু বোঝবার যো নেই! আশ্চর্য্য! একেবারে সোজা অক্ষর! বা, বা, চমৎকার! তা এর দাম—

 কেদার। মাপ করবেন্ ওর নাম কি—

 বৈকুণ্ঠ। না, সে হবে না! আপনি যে কষ্ট করে বইখানি খুঁজে এনেছেন এতেই আমি আপনার কেনা হয়ে রইলুম—আমার ঋণ আর বাড়াবেন না!

 কেদার। (নিশ্বাস ফেলিয়া) কিন্তু কি বল্‌ব— দামটা বোধ হয় ঠকেছি।

 বৈকুণ্ঠ। আজ্ঞে না—তা কখনো হতেই পারে না। আমি জানি কিনা— এ সব জিনিষের দাম বেশি!

 কেদার। আজ্ঞে, বেটাত পঁয়ত্রিশ টাকা চেয়ে বসেছে! বোধকরি— ওর নাম কি—ত্রিশেই রফা হবে!

 বৈকুণ্ঠ। পঁয়ত্রিশ! এ ত জলের দর! টাকাটা এখনই নিয়ে দিন্—আবার যদি মত বদ্‌লায়! চীনেম্যান্ বোধ হয় নিতান্ত দায়ে পড়েছে।

 কেদার। দায় বলে দায়! শুন্‌লুম দেশে তার তিন শ্যালী আছে—তিনটিকেই এক কুলীন চীনেম্যানের সঙ্গে বিয়ে দিতে হবে। কন্যাদায় দায় কিন্তু— কি বলে ভাল— শ্যালী দায়ের সঙ্গে তার তুলনাই হয় না!