সঙ্গেও একটি কন্যের সম্বন্ধ হয়েছিল—বিবাহের পূর্ব্বে সেত লজ্জায় মরেই গেল।
অবিনাশ। আঃ, কি বল তিনকড়ি।
তিনকড়ি। শুধু লজ্জা নয় শুন্লুম তার যকৃৎও ছিল
অবিনাশ। মনোরমার—
তিনকড়ি। যকৃতের দোষ নেই।
অবিনাশ। আঃ সে কথা আমি জিজ্ঞাসা করচি নে— আমি হৃদয়ের কথা বল্চি—
তিনকড়ি। মশায় ও সব বড় শক্ত কথা— আমি বুঝিনে। মেয়ে মানুষের হৃদয় তিনকড়ি কখনো পায়নি কখনো প্রত্যাশাও করেনি। দিব্যি আছি।
অবিনাশ। আচ্ছ। সে থাক্— কিন্তু মনোরমাকে আমি একটি আংট উপহার দেব—বুঝলে? সেই সঙ্গে এক লাইন চিঠি দিতে চাই—
তিনকড়ি। ক্ষতি কি! একটা লাইন্ বই ত নয় চট্ করে হয়ে যাবে!
অবিনাপ। এই দেখ না— আমি লিখেছিলুন—“দেবীপদতলে বিমুগ্ধ ভক্তের পূজোপহার।” তুমি কি বল?
তিন। তোমার কথা তুমি বল্বে— ওর মধ্যে আমার কিছু বলা ভাল হয় না—সে হল আমার ভগ্নী!
অবিনাশ। না, না, তা বলচিনে! আংটি কি ঠিক পদতলে দেওয়া যায়! করতলে লিখ্লে—