পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় দৃশ্য।
৩৫

বলেন কেন? একটু বসুন্ অবিনাশ বাবু— আমি কেদারদাকে ডেকে আনি। সে আমার চেয়ে ভাব্‌তেও জানে ভেবে কিনারা করতেও পারে!—আমার পক্ষে বুড়োই ভাল!  (প্রস্থান।)

কেদার, বৈকুণ্ঠ এবং তিনকড়ির প্রবেশ।

 বৈকুণ্ঠ। অবিনাশ, কেদার বাবুকে আবার তোমার কি দরকার হল! আমি ওঁকে আমার নতুন পরিচ্ছেদটা শোনাচ্ছিলুম তিনকড়ি কিছুতেই ছাড়লে না শেষকালে হাতে পায়ে ধরতে লাগ্‌ল।

 অবিনাশ। আমার সেই কাজটা শেষ হয় নি, তাই।

 বৈকুণ্ঠ। (রাগিয়া) তোমার ত কাজ শেষ হয় নি, আমারি সে পরিচ্ছেদটা শেষ হয়েছিল না কি?

 অবিনাশ। তা দাদা, ওঁকে নিয়ে যাওনা—

 কেদার। (ব্যস্ত হইয়া) ওর নাম কি অবিনাশ— তোমারও সে কাজটাত জরুরি কি বলে— আর ত দেরী করা চলে ন!

 বৈকুণ্ঠ। বিলক্ষণ! আপনি সে জন্যে ভাব্‌বেন না। নিজের কাজ নিয়ে কেদার বাবুকে এরকম কষ্ট দেওয়া উচিত হয় না অবিনাশ! অমন করলে উনি আর এখানে আস্‌বেন না!

 তিনকড়ি। সে ভয় করবেন না বৈকুণ্ঠ বাবু— আমাদের দুটিকে না চাইলেও পাওয়া যায়, তাড়ালেও ফিরে