বিপিন। কি রাস্কেল, তুই এত বড় কথা বলিস!
ঈশান। দেখ, গালমন্দ দিয়ো না বল্চি—
বৈকুণ্ঠ। আঃ ঈশেন থাম—
বিপিন। আমি তোদের এ ঘরে পায়ের ধুলো মুছতে চাইনে। আমি এখনি চল্লুম।
বৈকুণ্ঠ। যাবেন না বেণী বাবু। আমি গলবস্ত্র হয়ে বল্চি মাপ কর্বেন— (বৈকুণ্ঠকে ঠেলিয়া বিপিনের প্রস্থান) ঈশেন তুই কি করলি বল্ দেখি—তুই আর আমাকে বাড়িতে টিঁক্তে দিলিনে দেখ্চি।
ঈশান। আমিই দিলুম না বটে!
বৈকুণ্ঠ। দেখ্ ঈশেন, অনেক কাল থেকে আছিস তোর কথাবার্ত্তাগুলো আমাদের অভ্যাস হয়ে এসেছে, এরা নতুন মানুষ এরা সইতে পারবে কেন? তুই একটু ঠাণ্ডা হয়ে কথা কইতে পারিস্নে?
ঈশান। আমি ঠাণ্ডা হয়ে থাকি কি করে। এদের রকম দেখে আমার সর্ব্বশরীর জ্বল্তে থাকে!
বৈকুণ্ঠ। ঈশেন, ওরা আমাদের নতুন কুটুম্ব— ওরা কিছুতে ক্ষুণ্ণ হলে অবিনাশের গায়ে লাগ্বে— সে আমাকেও কিছু বল্তে পারবে না—অথচ তার হল—
ঈশান। সে ত সব বুঝেছি। সেই জন্যেই ত ছোট বয়সে ছোট বাবুকে বিয়ে দেবার জন্যে কতবার বলেছি— সময়কালে বিয়ে হলে এতটা বাড়াবাড়ি হয় না।