পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS বৈকুণ্ঠের উইল নিতান্ত অভদ্রভাবে অন্যত্ৰ চলিয়া গেল। একদিন দুইদিনা করিয়া কাটিতে লাগিল, অথচ বিনোদ আসে না। শান্তপ্রকৃতি গোকুল একেবারে উগ্ৰ হইয়া উঠল। ভবানীকে দেখিলে যেন চেনা যায় না, এই কয়দিনে তঁহার এমন পরিবর্তন ঘটিয়াছে। নীরবে নতমুখে আগামী শ্ৰাদ্ধের কাজকৰ্ম্ম করেন-ছেলের নাম মুখেও আনেন না। এই একটা বৎসর বিনোদ যখন তখন নানা ছলে গোকুলের নিকট টাকা আদায় করিত। তাহার স্ত্রী মনোরম ব্যাপারটা পূর্বেই অনুমান করিয়া স্বামীকে বারংবার সতর্ক করা সত্ত্বেও সে কান দেয় নাই। এই উল্লেখ আজ সকালে করিবামাত্ৰই গোকুল আগুন হইয়া কহিল, বিনোদ যখন কারুর বাপের বাড়ির টাকা নষ্ট করবে, তখন যেন তারা কথা কয়। বলিয়া দ্রুতপদে তাহার বিমাতার ঘরের সুমুখে আসিয়া উচ্চ কণ্ঠে কহিল, অতবড় রাবণ রাজা মেয়েমানুষের পরামর্শে সবংশে ধ্বংস হ’য়ে গেল, তা আমরা কোন ছার! কি যে বাবার কানে কানে ফুস ফুস করে উইল করার মন্তর দিলে মা, সব দিকে আমাকে মাটি করে দিলে । ভবানী আশ্চৰ্য্য হইয়া মুখ তুলিবামাত্রই সে হাত পা নাড়িয়া একটা ক্রুদ্ধ ভঙ্গী করিয়া বলিয়া ফেলিল, তোমাকু ভালমানুষ বলেই জানতুম মা, তুমিও কম নয়! মেয়েমানুষের জাতটাই এমনি! বলিয়া তাকে ‘মড়ার উপর খাড়ার ঘা” দিয়া যেমন করিয়া আসিয়াছিল, তেমনি করিয়া চলিয়া গেল। একে দোকানদার তাহাতে মূর্থি, গোকুলের কথাই এমুনি সকলেই