পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वकूर्छश्च ऊरेण S8 অধ্যাপক-বিদায়ের ফর্দ প্ৰস্তুতের ভার ছিল। সে ঘরে আসিয়া কি-একটা কথা জিজ্ঞাসা করিবামাত্ৰই গোকুল তড়িাক করিয়া উঠিয়া কাগজখানা ছিনাইয়া লইয়া খণ্ড খণ্ড করিয়া ছিড়িয়া ফেলিয়া দিয়া কহিল, বাবা দশখান। তালুক রেখে যান নি যে রাজা-রাজড়ার মত পণ্ডিত-বিদায় করতে হবে! যাও যাও, ওসব আমিরি চাল আমার কাছে খাটবে না । লোকটা যারপরনাই কুষ্ঠিত ও লজ্জিত হইয়া চলিয়া গেল। ভবানী জানিতে পারিয়া ঘরের বাহিরে চৌকাটের কাছে আসিয়া বসিলেন। সস্নেহে মৃদুকণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন, তোর কি কোন রকম অসুখ বোধ হচ্ছে গোকুল ? গোকুল যেমন শুইয়া ছিল, তেমনিভাবে জবাব দিল, না। ভবানী বলিলেন, না, তবে যে কিছু খেলি নে, হঠাৎ এমন সময়ে এসে যে শুয়ে পড়লি ? গোকুল কহিল, পড়লুম। ভবানী কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া আবার জিজ্ঞাসা করিলেন, অধ্যাপক-বিদায়ের ফর্দটা ছিড়ে ফেলে দিলি যে ? ‘কাল সকালেই নিমন্ত্রণা-পত্ৰ না পাঠালে। আর সময় হবে न्म ददि । গোকুল ঠিক তেমনি করিয়া জবাব দিল, না হয় নাই হবে। ভবানী কিছু বিস্মিত কিছু বিরক্ত হইয়া কহিলেন, ছি গোকুল, এ-সময়ে ও রকম অধীর হলে তা হবে না। কি হয়েচে আমাকে খুলে বল-আমি সমস্ত ঠিক করে দেব। মায়ের কথার উত্তরে গোকুল তাহার কম্বলের শয্যা ত্যাগ