পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

战@ বৈকুণ্ঠের উইল করিয়া চোখ পাকাইয়া উঠিয়া বসিল । কাহার সহিত কি ভাবে কথা কহিতে হয়, সে কোন দিন শিক্ষা করে নাই। কৰ্কশকণ্ঠে কহিল, তোমার যে মতলব শোনে মা, সে একটা গাধা । বাবা তোমার কথা শুনত বলে কি আমিও শুনব ? আমি দশটি ব্ৰাহ্মণ খাইয়ে শুদ্ধ হ’ব, কোন জাকজমক করব না। বলিয়া সে তৎক্ষণাৎ দেওয়ালের দিকে মুখ করিয়া শুইয়া পড়িল। ভবানী শান্তস্বরে কহিলেন, ছি বাবা, তিনি স্বৰ্গে গেছেনতার সম্বন্ধে কি এমন করে কথা কইতে আছে! গোকুল জবাব দিল না। তিনি কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া পুনরায় কহিলেন, এ রকম করলে, লোকে কি বলবে বলা দেখি বাছা। যাদের যেমন সঙ্গতি তাদের তেমনি কাজ করতে হয়, না করলেই অখ্যাতি রটে । গোকুল তেমনিভাবে থাকিয়াই কহিল, রটােক গে শালারা। আমি কারো ধার ধারি নি যে, ভয়ে মরে যাব। ভবানী বলিলেন, কিন্তু তঁার এতে তৃপ্তি হবে কেন ? তিনি যে এত বিষয়-আশয় রেখে গেলেন, তঁর মত কাজ না করলে ত তিনি সুখী হবেন না। ভবানী ইচ্ছা করিয়াই গোকুলের বড় ব্যথার স্থানে ঘা দিলেন । পিতাকে সে যে কি ভালবাসিত, তাহা তিনি জানিতেন । গোকুল উঠিয়া বসিয়া কঁাদ কঁাদ স্বরে কহিল, খরচের কথা কে বলচে মা। যত ইচ্ছে তোমরা খরচ করা ; কিন্তু যত দিন যাচ্চে, ততই যে আমার হাত-পা বন্ধ হয়ে আসছে। বিনোদ