পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈকুণ্ঠের উইল ԳՀ আশীৰ্বাদে সে দেশের পাঁচজন দেখতেই পাবে। কিন্তু শক্ৰদের আর আমি এ বাড়িতে একটি দিনও থাকতে দেব না, তা আপনাকে জানিয়ে দিচ্চি বঁড়িয্যেমশাই। তা তারা আমার বাবাজীর মা-ই হোন, আর ভাই-ই হোন। আর সেই ব্যাটা চকোত্তিকে আমি তাড়িয়ে তবে জলগ্ৰহণ করব। কে আছিস রে ওখানে ? ব্যাটা বামুনকে ডেকে আন দোকান থেকে । বলিয়া “রায়মশাই ইহারই মধ্যে ষোল আনা ছাপাইয়া সতর আনার মত একটা হুঙ্কার ছাড়িলেন। গোকুল সঙ্কুচিত ও অত্যন্ত লজ্জিত হইয়া মৃদু স্বরে কহিল, না না, এখন তঁকে ডাকবার আবশ্যক নেই। বঁড়িয্যেমশাই দুই হাত দুই দিকে প্রসারিত করিয়া বলিয়া উঠিলেন, না না, গোকুল, এসব চক্ষু-লজ্জার কাজ নয় ! তাকে আমরা রাখতে পারব না-কোন মতেই না। তার বড় আস্পপাদ্ধা । আমরা তাকে চাই নে, তা বলে দিচ্চি । প্ৰত্যুত্তরে গোকুল তেমনি বিনীত কণ্ঠে কহিল, কিন্তু মা DDBB D S DB S DB BBDD BBBDBDS DDBBD DDDBD দেবার সাধ্য কারুর নেই। বাবা আমাকে সে ক্ষমতা দিয়ে যান নি। বলিয়া গোকুল পুনরায় মুখ হেঁট করিল। তাহার এই একান্ত অপ্রত্যাশিত উত্তর, এই শান্ত অথচ দৃঢ় কণ্ঠস্বর শুনিয়া উভয়েই বিস্ময়ে হতবুদ্ধি হইয়া গেল। কিছুক্ষণ স্থির থাকিয়া বঁাড়ুৰ্য্যোমশাই কহিলেন, তা হ’লে সে থাকবে বল ? গোকুল কহিল, আজ্ঞে হাঁ। চক্কোত্তিমশায়ের উপর আমার আর কোন হাত নেই।