পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈকুণ্ঠের উইল ከሦመ গোকুলের এই সাফ কথাটা বিনোদের কানে গিয়া পৌছিতে বিলম্ব হইল না। প্ৰত্যহ বাধা দিয়া গাড়ী ফেরৎ দেওয়ায় সে মনে মনে বিরক্ত হইতেছিল। আজ অত্যন্ত রাগিয়া আসিয়া কহিল, দাদা, মাকে আমি আজ নিয়ে যাব। আপনি অনর্থক বাধা দেবেন না ! গোকুল সংবাদপত্রে অতিশয় মনোনিবেশ করিয়া কহিল, আজকে তু হতে পারবে না। বিনোদ কহিল, খুব পারবে। আমি এখনি নিয়ে যাচ্ছি। তাহার ক্রুদ্ধ কণ্ঠস্বর শুনিয়া গোকুল হাতের কাগজটা এক পাশে ফেলিয়া দিয়া কহিল, নিয়ে যাচ্ছি বললেই কি হবে ? বাবা মরুবার সময় মাকে আমায় দিয়ে গেছেন—তোমাকে দেন নি। আমি কোথাও পাঠাবনা । বিনোদ কহিল, সে ভার যদি আপনি বাস্তবিক নিতেন দাদা, তা হলে এমন করে মাকে দিবারাত্ৰি লাঞ্ছনা অপমান ভোগ করতে হ’ত না। মা, বেরিয়ে এসো, গাড়ী দাড়িয়ে আছে। বলিয়া বিনোদ পশ্চাতে দৃষ্টিপাত করিতেই ভবানী বাহির হইয়া আসিলেন। তিনি যে অন্তরালে আসিয়া দাড়াইয়া ছিলেন, তাহা গোকুল জানিত না। তঁহাকে সোজা গিয়া গাড়ীতে উঠিতে দেখিয়া গোকুল আড়ষ্ট হইয়া খানিকক্ষণ দাড়াইয়া থাকিয়া অবশেষে পিছনে পিছনে গাড়ীর কাছে আসিয়া কহিল, এমন জোর করে চলে গেলে আমার সঙ্গে তোমাদের আর কোন সম্পর্ক থাকবে না, তা বলে দিচ্চি মা । ভবানী জবাব দিলেন না ; বিনোদ গাড়োয়ানকে ডাকিয়া