পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈকুণ্ঠের উইল r ইহাতে নিমাই যত পুলকিতই হউন, তাহার কন্যা খুসি হইতে পারিল” না। গোকুলকে সে চিনিত। সে যখন দেখিল, স্বামী খাওয়া-দাওয়া লইয়া হাঙ্গামা করে না, যা পায় নীরবে খাইয়া উঠিয়া যায়, তখন সে ভয় পাইল। এই জিনিষটাতেই গোকুলের ছেলেবেলা হইতেই একটু বিশেষ সখ ছিল। খাইতে এবং খাওয়াইতে সে ভালবাসিত । প্ৰতি রবিবারেই সে বন্ধুরান্ধবদের নিমন্ত্ৰণ করিয়া আসিত ; এ রবিবারে তাহার কোনরূপ আয়োজন না দেখিয়া মনোরম প্রশ্ন করিল। গোকুল উদাসভাবে জবাব দিল, সে সব মায়ের সঙ্গে সঙ্গে গেছে। রোধে খাওয়াবে কে ? মনোরমা অভিমানভারে কহিল, রাঁধতে কি শুধুমা-ই শিখেছিলেন—আমরা শিখিনি ? গোকুল কহিল, সে তোমার বাপ ভাইকে খাইয়ো, আমার দরকার নেই। মনোরমার মা কালীঘাটের ফেরত একদিন আসিয়া উপস্থিত হইলেন। সৎ-শাশুড়ী রাগ করিয়া চলিয়া গিয়াছেন, মেয়ের ভাঙা সংসার গুছন আবশ্যক বিবেচনা করিয়া তিনি দুই চারি দিন থাকিয়া যাইতেই মনস্থ করিলেন । দেখিতে দেখিতে বিকল সংসার মেরামত হইয়া আবার সুন্দর চলিতে লাগিল ; এবং কর্ণধার হইয়া দৃঢ়হন্তে হাল ধরিয়া দিনের পর দিন কাটাইতে লাগিলেন। পাড়ার লোকেরা প্ৰথমে কথাটা লইয়া আন্দোলন করিল, কিন্তু কলিকালের স্বধৰ্ম্মে দুই-চারিদিনেই নিরস্ত হইল। হাবুর মার ঘর। এই পথে। সে মাঝে মাঝে দেখা দিয়া