পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈকুণ্ঠের উইল ክፋ3 দোকানটী অন্ততঃ বজায় করিয়া রাখিবে, স্বৰ্গীয় স্বামীর কথা মনে করিয়া তিনি এ চিন্তাতেও কতকটা সুখ পাইতেন। এমনি করিয়াই দিন কাটিতেছিল। আজ বৈশাখী সংক্রান্তি। প্ৰতি বৎসর এই দিনে ঘটা করিয়া ব্ৰাহ্মণভোজন করাইতেন । কিন্তু এবার নিজের কাছে টাকা না থাকায় এবং কথা-প্রসঙ্গে বিনোদকে বার-দুই জানাইয়াও তাহার কাছে সাড়া না পাওয়ায় এ বৎসর ভবানী সে সঙ্কল্পই পরিত্যাগ কবিয়াছিলেন। সহসা অতি প্ৰত্যুষে ভয়ানক ডাকাডাকি, হাবুর মা সদর দবাজা খুলিয়া দিতেই গোকুল ব্যস্ত হইয়া প্ৰবেশ করিল। সঙ্গে তাহার অনেক লোক, ঘি, ময়দা, বহুপ্ৰকার মিষ্টান্ন, ঝুড়িভরা পাকা আমি। ঢুকিয়াই কহিল, আমাদের পাড়ার সমস্ত বামুনদের নেমন্তয় করে এসেচি-সে বঁাদরটার পিত্যেশে ত আর ফেলে রাখতে পারি নে। মা কই ? এখনো ওঠেন নি বুঝি ? যাই, কাজকৰ্ম্ম করবার লোকজন গিয়ে পাঠিয়ে দিইগে। যেমন মা-তেমনি ব্যাটা, কারো চাড়ই নেই, যেন আমােবই বড় মাথাব্যথা ! মাকে খবর দিগে হাবুর মা, আমি ঘণ্টা-খানেকোব মধ্যেই ফিরে আসচি। বলিয়া গোকুল যেমন ব্যস্ত হইয়া প্ৰবেশ করিয়াছিল, তেমনি ব্যস্ত হইয়া বাহির হইয়া গেল। ভবানী অনেকক্ষণ উঠিয়াছিলেন এবং আড়ালে দাড়াইয়া সমস্তই দেখিতেছিলেন। গোকুল চলিয়া যাইবামাত্ৰই অকস্মাৎ অশ্রুর বন্যা আসিয়া তাহার দুই চোখ ভাসাইয়া দিয়া গেল। সেদিন ছিল রবিবার। “শনিবারের রাত্ৰি’ করিয়া অনেক বেলায় বিনোদ বাড়ি ঢুকিয়া অবাক হইয়া গেল! হাবুর মার কাছে