পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ। মাইকেল ফ্যারাডে । আমি যদি বলি যে, যে গোটু বালক "বেঙ্গলি” বা টয়মান” কাগজ প্রত্যহ প্রাতে আপনার বাটতে দিয়া আসে, সে বা তাহার দলের মধ্যে একজন কালক্রমে ডাক্তার জগদীশচন্দ্র বস্থ মহাশয়ের স্থায় বৈজ্ঞানিক হইয়া উঠিয়াছে, অথবা চাদনির চকে দপ্তরির দোকানে যে সকল ছোট ছোট ছেলে বহি ও খাত বঁধে তাহাদের মধ্যে একজন মন্ত্রশক্তিবলে ডাক্তার প্রফুল্লচন্দ্র রায় মহাশয়ের মত একজন রাসায়নিক হইয়া উঠিয়াছে তাঙ্গ হইলে আপনি হে পাঠক! আমার কথায় কি বিশ্বাস করিতে পারেন ? আপনি বিশ্বাস করুন বা নাই করুন—অদ্য আপনদিগকে যে মহাপুরুষের জীবনবৃত্তান্ত শুনাইব বলিয়া মনে করিয়াছি, র্তাহার জীবনে এরূপ অসম্ভব বাস্তবিকই সম্ভব হইয়াছিল। দরিদ্র কামারের সস্তান মাইকেল ফ্যারাডে বাল্যকালে দপ্তরি ও সংবাদপত্রবাহকের কৰ্ম্মই করিতেন, ভবিষ্যৎ জীবনে তিনিই পৃথিবীর একজন অদ্বিতীয় রাসায়নিক ও পদার্থতত্ত্ববিৎ বলিয়া অশেষ থ্যাতি অর্জন করিয়া গিয়াছেন। একজন চিন্তাশীল লেখক প্রতিভার (genius) স্বরূপ নির্দেশ করিতে গিয়া লিখিয়া গিয়াছেন “Genius consists in the capacity of taking unlimited pains” অর্থাৎ অশেষ পরিশ্রম করিবার ক্ষমতাই প্রতিভার লক্ষণ। কিন্তু মনে হয় যে পরিশ্রম করিবার ক্ষমতাতেই কেবল প্রতিভার