পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o মাইকেল ফ্যারাডে సె: সভাসমিতি স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা ইংলণ্ডবাসীদিগকে ভাল করিয়া বুঝাইয়া দেন। আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত বিপ্নবিষ্ঠালয়ের ছাত্র ভিন্ন অপরে বিজ্ঞান শিখিবার সুবিধা আদৌ পায় না। যে সকল যুবক নানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশলাভ করিতে পারে না তাহারা বিজ্ঞানশিক্ষালাভে যাহাতে বঞ্চিত ন স্বয় তাহার ব্যবস্থ হওয়া একান্ত কৰ্ত্তব্য। আমাদের মনে রাখা উচিত যে রয়েল ইন্‌ষ্টিটিউশন না থাকিলে মাইকেল ফ্যারাডের অভু্যদয় সম্ভব হইত না। স্বৰ্গীয় ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার এই অভাবটি হৃদয়ঙ্গম করিয়াছিলেন এবং সৰ্ব্বসাধারণ যাহাতে বিজ্ঞানের বকৃতাদি শ্রবণ করিলা জ্ঞানলাভ করিতে । পারে তাহার জন্ত “ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েশন ফর দি কাল্‌টিভেশন অব সায়েন্স” নামক বিজ্ঞানসভার প্রতিষ্টা করিয়াছিলেন। তাহার উদ্দেশ্য আজ পর্য্যন্ত সম্পূর্ণ সফল হয় নাই, কিন্তু ভরসা আছে কালক্রমে উহার সার্থকতা বৰ্দ্ধিত হইবে। যে দিন মাইকেল ফ্যারাডে একখানি খাতী হাতে করিয়া রয়েল ইন্‌ষ্টিটিউশনে ডেভীর বক্তৃতা শুনিতে গিয়াছিলেন, সে দিবস ফ্যারাডে ও রয়েল ইন্‌ষ্টিটিউশন—এই দুইয়ের—জীবনের একটি স্মরণীয় দিবস। রয়েল ইন্‌ষ্টিটিউশনের সহিত সম্পর্ক ফ্যারাডের সমগ্র জীবনে কখনও বিচ্ছিন্ন হয় নাই, এবং ফ্যারাডের বৈজ্ঞানিক গবেষণার স্বযশ রয়েল ইন্‌ষ্টটিউশনকে সমগ্র ইউরোপে পরিচিত করিয়া দিয়াছিল। এখনও পর্য্যন্ত ডেভী ও ফ্যারাডের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রাবলী ঐখানে সযত্নে রক্ষিত আছে বলিয়া রয়েল ইন্‌ষ্টিটিউশন বৈজ্ঞানিকের পক্ষে পরম পুণ্যময় তীর্থস্থান বলিয়া পরিচিত। , ডেভী তখন নানা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের জন্ত বিশ্ববিখ্যাত