পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাইকেল ফ্যারাডে $t কাজ ছাড়িয়া অতি দীনভাবেও বিজ্ঞানের সেবা করিতে পারিবেন এখন হইতে সেই চিন্তাই তাহার প্রধান কাৰ্য্য হইয়া দাড়াইল । - র্তাহার বৈজ্ঞানিক বক্তৃতা শুনিবার ইচ্ছা এতই প্রবল ছিল যে, তিনি প্রত্যেক বক্তৃতার জন্ত এক শিলিং খরচ করিয়াও ৪৩ নম্বর ডরসেট ষ্ট্রটস্থ মিষ্টার টটমের বাটতে রাত্রি আটটার সময় বস্তৃতা শুনিতে যাইতেন। তাহার নিজের পয়স ছিল না, তাহার ভ্রাত রবার্ট এই সকল বক্তৃতা শুনিবার খরচ দিতেন। তিনি এই সকল বক্তৃত কেবল শ্রবণ করিয়াই নিশ্চিন্ত থাকিতেন না, তাহাদের সারমৰ্ম্ম খাতায় লিখিয়া লইতেন এবং প্রদর্শিত যন্ত্রাদির চিত্রও অঙ্কিত করিতেন । ১৮১২ খৃষ্টাব্দের ৭ই অক্টোবর তাহার রিবোর নিকট শিক্ষানবিশী শেষ হইল। তাহার পর তিনি নিজের নামে দপ্তরির ব্যবসা খুলিলেন। দিন কতক এইরূপে কাজ করিয়া তিনি দেখিতে পাইলেন যে র্তাহার শিক্ষানবিশীর সময় বিজ্ঞানচর্চার জন্ত যতটা সময় পাইতেন এখন আর তাহ পান না। অতএব এখন হইতে দৃঢ়সংস্কল্প করিলেন যে যেমন করিয়া হউক এই দপ্তরির কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিতেই হইবে। ইতিপূৰ্ব্বে তিনি রয়েল সোসাইটি নামক ইংলণ্ডের বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক সভার সভাপতি সার জোসেফ ব্যাঙ্কস্কে স্বকীয় বিজ্ঞানচর্চার ঐকান্তিক আগ্রহ প্রকাশ করিয়া তথায় একটি চাকরির জন্য একখানি পত্র লিখিয়াছিলেন। সভাপতি মহাশয় তাহার এই দুঃসাহসের কি আর উত্তর দিবেন। এখন তিনি আবার সার হাম্ফ্রী ডেভীকে একখানি পত্র লিখিতে মনস্থ করিলেন। তিনি লিখিয়া গিয়াছেন—“এই সময়ে আমার কৰ্ম্ম