পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o মাইকেল ফ্যারাড়ে be? ফ্লরেন্সে প্রায় এক মাসকাল অতিবাহিত করিয়া সকলে রোম মগরে উপস্থিত হইলেন। সেখান হইতে নেপলস্ সহর দেখিয়া ভিমুভিয়াস নামক আগ্নেয়গিরি দর্শন করিতে গেলেন। তাহার পরে ইটালী পরিত্যাগ করিয়া পুনরায় জেনেভাতে পহুছিলেন ; তথা হইতে নানা দেশ ভ্রমণ করিয়া ১৮১৫ খৃষ্টাব্দে এপ্রিল মাসে ইংলণ্ডে প্রত্যাবর্তন করিলেন । ফ্যারাডে ফিরিয়া আসিয়া আবার রয়েল ইন্‌ষ্টিটিউসনে কাজ করিতে লাগিলেন। র্তাহার শিক্ষাগুরু ডেভীর সহিত হাতে কলমে কাজ করিতে করিতে ক্রমে ক্রমে ডেভীর দ্যায় বৈজ্ঞানিক হইবার আকাঙ্ক্ষা অল্পে অল্পে ৰ্তাহার মনে জাগিতে লাগিল । বাস্তবিক উপযুক্ত গুরু লাভ ন হইলে সাধনার পথ সুগম হয় না--তাই দেখি প্রহ্লাদের গুরু নারদ, শিবাজীর গুরু রামদাস, বিবেকানন্দের গুরু রামকৃষ্ণ, মাইকেলের গুরু মিল্টন, আর ফ্যারাডের গুরু ডেভী। এখন হইতে ফ্যারাডের বৈজ্ঞানিক জীবন আরম্ভ হইল। ১৮১৬ খৃষ্টাব্দে ১৭ই জানুয়ারী তিনি *সিটি ফিলজফিক্যাল” সোসাইটিতে র্তাহার প্রথম বৈজ্ঞানিক বক্তৃতা দেন। ঐ বৎসরই তাহার প্রথম মৌলিক বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। এতক্ষণ আমরা ফ্যারাডের প্রতিভা কিরূপে ধীরে ধীরে বিকাশপ্রাপ্ত হইয়াছিল তাহারই পরিচয় দিলাম। র্তাহার বৈজ্ঞানিক গবেষণার কথঞ্চিৎ পরিচয় দিয়া তাহার কথা শেষ করিব। ' ' - . . . . i ه»