পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈজ্ঞানিক জীবনী وان ما لا উপকার হইবে না, তাহাতে সময় নষ্ট করা উচিত নহে ।” এরূপ : প্রশ্ন এখনও অনেকের মুখে শুনিতে পাওয়া যায়। অনেকের বিশ্বাস যে বিশুদ্ধ রসায়ন, পদার্থবিদ্যা প্রভৃতি শাস্ত্রে গবেষণার কোন প্রয়োজন নাই, বরঞ্চ তাহা অপেক্ষা ঘাট, বাটি, ছাত, জুতা, কাচ, কাগজ প্রভৃতি “প্রয়োজনীয়” দ্রব্য যাহাতে এদেশে উৎপন্ন হয় তাহার চেষ্টা করা উচিত । g বিখ্যাত আমেরিকান বৈজ্ঞানিক ফ্রাঙ্কলিন এইরূপ প্রশ্নের উত্তরে বলিতেন "ছেলে মানুষ করিয়া কি লাভ ?” যাহার এরূপ প্রশ্ন করেন তাহারা ভুলিয়া যান যে বিশুদ্ধ রসায়ন বা পদার্থবিদ্যার উন্নতি ন হইলে এই সকল “প্রয়োজনীয়” দ্রব্যের প্রস্তুতপ্রক্রিয়ার আবিষ্কারের আদৌ সম্ভাবনা ছিল না । বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনেকটা নিষ্কাম সাধনার মত। আরব্ধ বৈজ্ঞানিক গবেষণা পৃথিবীর কোন কাজে আসিবে কি ন!—এ চিন্তা করিবার অবসর বৈজ্ঞানিকের নাই। কিন্তু একথা স্মরণ রাখিতে হইবে যে বৈজ্ঞানিকের গবেষণার উপর পৃথিবীর তাবৎ “প্রয়োজনীয়” দ্রব্যের উৎপত্তি নির্ভর করিতেছে। ফ্যারাডে যখন এতটুকু তরল ক্লোরিন প্রাপ্ত হইয়াছিলেন তখন কি তিনি ভাবিয়াছিলেন যে পরবর্তী কালে র্তাহার প্রস্তুত তরল ক্লোরিন শত সহস্ৰ বোতল স্বর্ণের খনিতে ব্যবহৃত হইবে ? ফ্যারাডের দূরদৃষ্টি কখনও দেখিতে পায় নাই যে র্তাহার আবিষ্কৃত বেঞ্জিন হইতে র্তাস্থার ভবিষৎবংশীয়ের বিচিত্র বর্ণের শত শত প্রকার রং প্রস্তুত করিবে। ফ্যারাডের বৈদ্যুতিক গবেষণা পাঠ করিয়া কে বলিতে পারিত যে র্তাহারই গবেষণার ফলস্বরূপ, আজ, বিশ্নে বিদ্যুৎ একটি পরম শক্তিরূপে বিরাজ করিবে? . - - - -