পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাইকেল ফ্যারাডে। A go বিদ্যুৎ সম্বন্ধে আবিষ্কার । আজ বিদ্যুৎ যে সভ্যজগতে একটা প্রধান শক্তিরূপে বিরাজ করিতেছে, মানবের উন্নত বুদ্ধিকৌশলের কাছে পরাজয় স্বীকার করিয়া আজ তড়িৎ “নিরস্তর ভৃত্যভাবে” পাথা টানিতেছে, আলোক জালিতেছ, ট্রামগাড়ী চালাইতেছ, বড় বড় কল যন্ত্ৰাদি সবেগে ঘুরাইতেছে—বিদ্যুৎকে মানবের এত কাজে লাগাইবার জন্ত যে সকল বৈজ্ঞানিক আজীবন পরিশ্রম করিয়া গিয়াছেন র্তাহাদের মধ্যে মাইকেল ফ্যারাডের স্থান খুব উচ্চে। তিনি এই সকল বৈদ্যুতিক যন্ত্ৰ নিৰ্ম্মাণের মূল সূত্রগুলি আবিষ্কার করিয়া গিয়াছেন—ৰ্তাহার পরবর্তীকালের বৈজ্ঞানিকগণ এই সকল মূল স্বত্র যন্ত্রনিৰ্ম্মাণকার্য্যে লাগাইয়া কত বিচিত্র যন্ত্র নিৰ্ম্মাণ করিতেছেন । যখন বৈদ্যুতিক আলোকোদ্ভাসিত হৰ্ম্ম্যরাজিমধ্যে বৈদ্যুতিক পাশ্বাসঞ্চালিত বায়ু সেবনে মুখামুভব করিবেন তখনই আপনার একবার কামারসস্তান মাইকেল ফ্যারাডেকে স্মরণ করিবেন—তিনিই যাবতীয় বৈজ্ঞানিক যন্ত্র নিৰ্ম্মাণের মূল স্বত্রগুলি আবিষ্কার করিয়া গিয়া আপনাদের চিত্তবিনোদনের উপায় করিয়া দিয়াছেন। ফ্যারাডে যখন দপ্তরির কাজ করিতেছিলেন, তখন হইতেই তিনি বিদ্যুৎ সম্বন্ধে পরীক্ষা করিতেন। সাত খণ্ড দস্তা ও সাতখানি আধপেনী লইয়া তাহাদের মধ্যে লবণের জলে সিক্ত বস্ত্রখণ্ড দিয়া তিনি ভণ্টার বৈদ্যুতিক ঘট (Voltaic pile) প্রস্তুত করিয়া নানাবিধ পরীক্ষা করিতেন। রয়েল ইনিস্টটিউশনে ডেভীর সহিত তিনি বৈদ্যুতিক পরীক্ষা করিয়া বিদ্যুৎ সম্বন্ধে বহুবিধ