পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাইকেল ফ্যারাডে। YYY বিদ্যুতের রাসায়নিক বিশ্লেষণের নিয়ম । (Law of Electrolysis.) we বিদ্যুতের যে রাসায়নিক বিশ্লেষণের ক্ষমতা আছে তাহ ফ্যারাডে পূর্বেই আবিষ্কৃত হইয়াছিল। ১৮৮০ খৃষ্টাব্দে নিকলসন এবং কার্লাইল নামক দুই ব্যক্তি তাড়িতপ্রবাহের দ্বারা জলকে বিশ্লিষ্ট করিয়া উদ্‌জান ও অম্লজান গ্যাস প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে যে ডেভী তড়িৎপ্রবাহের দ্বারা কষ্টক, সোডা ও পটাস নামক তীক্ষ ক্ষারদ্বয় বিশ্লিষ্ট করিয়া দুইটি নূতন ধাতু আবিষ্কার করিয়াছিলেন। ফ্যারাডে নানাবিধ রাসায়নিক দ্রব্যের ভিতর তড়িৎপ্রবাহ প্রেরণ করিয়া বিবিধ পরীক্ষার পর একটি পরিমাণাত্মক নিয়ম (quantitative law) আবিষ্কার করিয়াছিলেন । তিনি দেখাইলেন যে সমপরিমাণ তড়িৎপ্রবাহের দ্বারা ১ ভাগ ওজনের উদ্‌জান, ৮ ভাগ অম্লজান, ৩৫’৫ ভাগ ক্লোরিন, ১০৩৫ ভাগ সীসক, ১০৮ ভাগ রৌপ্য, ও ৬৫৩ ভাগ স্বর্ণ প্রাপ্ত হওয়া যায়। এখন কথা হইতেছে যে এই ৮ ভাগ অম্লজান, ৩৫.৫ ভাগ ক্লোরিন, ১০৩৫ ভাগ সীসক প্রভৃতি মৌলিক পদার্থ ১ ভাগ ওজনের উত্তজানের সহিত রসায়নিকভাবে সংযুক্ত হইয়া থাকে। এই রাসায়নিক সংযোগের ওজনকে “তুল্য ওজন” (equivalent weight) বলে। সেইজন্য ফ্যারাডে তাহার নিয়ম নিম্নলিখিতভাবে লিপিবদ্ধ করিলেন—“সমপরিমাণ তড়িৎপ্রবাহ বিভিন্ন যৌগিক হইতে “তুল্য ওজনের মূল পদার্থ বিশ্লিষ্ট করিয়া থাকে”। সোনা রূপার গিণ্টি করার আধুনিক প্রক্রিয় বিদ্যুতের রাসায়নিক বিশ্লেষণ করিবার ক্ষমতার উপর নির্ভর করে।