পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাইকেল ফ্যারাডে סיצצ নূতন শাস্ত্রের স্বত্রপাত করিয়া গিয়াছেন । অম্লজানের চুম্বকত্বের দরুণ পৃথিবীর চুম্বকত্বের হ্রাস বৃদ্ধি হইয়া থাকে বলিয়া ফ্যারাডে প্রচার করিয়াছিলেন। এই সম্বন্ধে তাহার নানাবিধ পরীক্ষা র্তাহাকে অদ্বিতীয় পরীক্ষাকুশল বৈজ্ঞানিক বলিয়া পরিচয় প্রদান করেন । ফারাডের আরও অনেক মৌলিক গবেষণা প্রকাশিত হইয়াছে ; বাহুল্যভয়ে সেগুলি পরিত্যক্ত হইল । বাস্তবিক এক নিউটন ভিন্ন অপর কোনও বৈজ্ঞানিক এতগুলি আবিষ্কার করিয়া গিয়াছেন কি না সন্দেহের বিষয় । তিনি নিজে একখানি খাতা তৈয়ারি করিয়াছিলেন এবং সেই খাতায় যখন ষে বিষয়ে কোনও প্রস্তাবনা মনে উদয় হইত তাহা লিখিয়া রাপিতেন । তিনি সকল বৈজ্ঞানিককে এইরূপ একখানি নোটবহি রাখিতে পরামর্শ দিয়া গিয়াছেন। ইহাতে সুবিধ অনেক আছে। অদ্য হঠাৎ একটা বিষয়ে পরীক্ষা করিবার কথা মনে উদিত হইল, হয়ত কাজের ভিড়ে তাহা লিখিয়া না রাখার দরুণ ভুলিয়৷ যাইতে হইল। এইরূপ একখানি থাত থাকিলে সেরূপ ভূল হইবার সম্ভাবনা থাকে না। র্তাহার শিক্ষাগুরু ডেভীর সহিত র্তাহার সদ্ভাব ক্রমেই কমিতে ছিল। ফ্যারাডে বৈজ্ঞানিক গবেষণার দ্বারা যতই খ্যাতি অর্জন করিতেছিলেন ততই ডেভী তাহাকে ঈর্ষার চক্ষে দেখিতে লাগিলেন। এরূপ প্রায়ই ঘটিতে দেখা যায়—প্রথমে গুরুশিষ্যে বেশ হৃদ্যতা থাকে, পরে যখন প্রতিভাশালী শিষ্য স্বীয় প্রতিভার গুণে গুরুর সমকক্ষ হইয় উঠেন তখন গুরুর আর শিষ্যের প্রতি পূৰ্ব্বভাব থাকে না ; একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ভাব আসিয়া দেখা দেয়। ly