পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Toš বৈজ্ঞানিক জীবনী এক্ষেত্রেও ডেভীর অবস্থা কতকটা সেইরূপই দাড়াইয়াছিল। যখন ফ্যারাডের নাম বিখ্যাত রয়েল সোসাইটির সদস্তরূপে প্রস্তাবিত হইয়াছিল,তখন ডেভ উহার সভাপতিরূপে তাহাকে যথাসাধ্য বাধা দিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। যে দিবস ভোট লওয়া হইয়াছিল, ব্যালট বাক্সে একটিমাত্র কালে বল দেখা গিয়াছিল ; অবশ্য এই কালো বলটি কাহার দ্বারা নিক্ষিপ্ত হইয়াছিল তাহা ফ্যারাডের বুঝিতে বাকি ছিল না। এই প্রসঙ্গে বলা আবশ্বক যে কোনও বৈজ্ঞানিক জীবিতকালে স্বদেশ ও বিদেশ হইতে ফ্যারাডের মত এত সম্মান লাভ করিতে পারেন নাই—ফ্যারাডে সৰ্ব্বসমেত পচানব্বইটি সম্মানসূচক পদবী ও খেতাব লাভ করিয়াছিলেন। ফ্যারাডের চরিত্র অতি পবিত্র এবং স্বভাব অতি মধুর ছিল। উনত্রিশ বৎসর বয়সে তিনি মিস সারা বাৰ্ণাডকে বিবাহ করেন । বিবাহের আটাইশ বৎসর পরে তাহার খাতায় তিনি লিখিয়রাখিয়াছিলেন “১৮২১ খৃষ্টাব্দের ১২ই জুন আমি বিবাহ করিয়াছি—এই বিবাহ অন্যান্ত বিষয় অপেক্ষা আমাকে সমধিক মানসিক আনন্দ ও পার্থিব সুখ প্রদান করিয়াছে। আমাদের বিবাহবন্ধন আজ আটাইশ বৎসর চলিয়া আসিয়াছে, ইহার মধ্যে দাম্পত্য প্রণয়ের গাঢ়তা বৃদ্ধি ভিন্ন উহার কোনরূপ পরিবর্তন হয় নাই।” বিবাহের পর রয়েল ইন্‌ষ্টিটিউসনে আলাহিদা ঘর পাইয়াছিলেন ; সেইখানেই সপরিবারে তিনি বাস করিতেন। ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দে ইংলণ্ডের প্রধান সচিব সার রবার্ট পিল ফ্যারাডেকে ৩০০ পাউণ্ড বাৎসরিক পেন্সন দিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিয়াছিলেন। ফ্যারাডে প্রথমে উহা লইতে রাজি হন নাই, কারণ তিনি বলিতেন যে স্বীয় জীবিকা উপার্জনের ক্ষমতা তাহার