ه/ره সেই সত্য কিরূপে তিনি ক্রমশঃ উপলদ্ধি করিতে সমর্থ হইলেন তাহার, বিষদ পরিচয় দিতে চেষ্টা করিয়াছি। এই গ্ৰন্থখানিতে মাত্র কয়েকজন বৈজ্ঞানিকের কার্য্যাবলীর পরিচয় আছে। ইহার দ্বিতীয় ভাগে ব্রহ্মগুপ্ত, বরাহমিহির, ভাস্করাচাৰ্য্য প্রভৃতি ভারতীয় ও জন ওয়াট, লিনিয়স, ওয়ালার, কেলভিন প্রভৃতি ইউরোপীয় বৈজ্ঞানিকগণের জীবনবৃত্তান্ত লিখিবার ইচ্ছা আছে। গ্ৰন্থখানির একটা ছোটগোছের নাম রাখিবার জষ্ঠ “বৈজ্ঞানিক জীবনী” নামকরণ করিয়াছিলাম। কয়েকজন বন্ধুবান্ধব বলিতেছেন যে নামটা “বৈজ্ঞানিক-জীবনী” হইবে, কারণ তাহা না হইলে “বৈজ্ঞানিক” শব্দটা “ঞ্জাবনী’র বিশেষণ হইয়া পড়ে। তাঙ্গদের আপত্তিই ঠিক। যদি কোনোও কালে এই পুস্তকের দ্বিতীয় সংস্করণের আবশ্যক হয় তাঙ্গ হইলে অন্তান্ত সংশোধনের সহিত এই ভুলটিও সংশোধিত হইবে। এই গ্রন্থখানি গত দুই বৎসর ধরিয়া “ভারতী” পত্রিকায় প্রকাশিত হইয়াছে। “ভারতী”র মাননীয় সম্পাদিকা শ্ৰীমতী স্বর্ণকুমারী দেবী গ্রন্থের তাবৎ ব্লকগুলি আমাকে দান করিয়া বাধিত করিয়াছেন। পুনশ্চ আহলাদের সহিত স্বীকার করিতেছি যে কাশমবাজারের মাননীয় মহারাজা ঐযুক্ত মণীন্দ্রচন্দ্র নদী বাহাদুর এই পুস্তক প্রকাশের জন্ত অর্থসাহায্য করিয়াছেন। রাজসাহী ! শ্রীপঞ্চানন নিয়োগী। ১৭ই ফেব্রুয়ারী, ১৯১৫
পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।