পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাইকেল ফ্যারাডে Yoo তখনও ছিল। শেষে বন্ধুবান্ধবদিগের উপরোধে তিনি রাজি হইয়াছিলেন। সার রবার্ট পিলের ইচ্ছা পূর্ণ হইবার পূর্বেই লর্ড মেলবোর্ন প্রধান সচিবের পদ প্রাপ্ত হন। নূতন সচিব ফ্যারাডের সহিত দেখা করিতে ইচ্ছা প্রকাশ করিলে ফ্যারাডে তাহার সহিত দেখা করিতে যান। লর্ড মেলবোর্ন ফ্যারাডেকে ঠিক চিনিতে পারেন নাই—ফ্যারাডের স্বভাব বালকের দ্যায় সরল হইলেওঁ তাহার মধ্যে প্রকৃত মনুষ্যত্বের দৃঢ়ত যথেষ্ট ছিল। প্রধান সচিবের কথাবার্তায় ফ্যারাডে অত্যন্ত বিরক্ত হইয়াছিলেন ; লর্ড মেলবোন কথাপ্রসঙ্গে খুব সম্ভবতঃ বলিয়াছিলেন যে বৈজ্ঞানিক ও সাহিত্যিকগণকে পেন্দন প্রদান করার প্রথাকে তিনি অর্থের অপব্যয় মনে করেন। ফ্যারাডে বাটী আসিয়াই লর্ড মেলবোর্নকে একখানি পত্র লিখেন—তাহাতে তিনি সেদিনকার কথাবার্তায় নিজের বিরক্তি জ্ঞাপন করেন এবং প্রস্তাবিত পেন্সন গ্রহণে অনিচ্ছপ্রকাশ করেন। পরে একজন সন্ত্রান্ত মহিলা দুইজনের মধ্যে বন্ধুত্ব স্থাপন করিবার প্রয়াস পান। ফ্যারাডে তাহাকে বলেন যে যদি লর্ড মেলবোন তাহার কথাবার্তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিয়া পত্র লেখেন তাহ হইলে এ বিবাদ মিটয়া যাইবে। লর্ড মেলবোর্ন এই সংবাদ পাইয়া আন্তরিক দুঃখ ও ক্ষমা প্রার্থনা করিয়া ফ্যারাডেকে পত্র লিখেন এবং এইখানেই এই ব্যাপারের শেষ হয়। ফ্যারাডে জীবনের শেষ কাল পর্য্যন্ত র্তাহার পেনসন ভোগ করেন। এই ঘটনায় ফ্যারাডের উন্নত মনুষ্যত্বের পরিচয় বেশ মুস্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে স্বৰ্গীয় মহামান্ত সাম্রাজী ভিক্টোরিয়ার স্বামী প্রিন্স কন্‌দার্টের অনুরোধে সাম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়া হামূটন কোর্টে একখানি বাট ফ্যারাডেকে বাস করিতে দেন।