পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ । নিউটন। যেমন শিব নটকুলচুড়ামণি, যেমন পৰ্ব্বতের মধ্যে হিমাদ্রি শ্রেষ্ঠ, যেমন তারকাসুন্দরীগণের মধ্যে রোহিণী বরণীয়, যেমন “কবিযু কালিদাসঃ শ্রেষ্ঠঃ” তেমনই বৈজ্ঞানিকগণের মধ্যে নিউটন সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ। শুধু ইংরাজ কেন, পৃথিবীর যাবতীয় সভ্য জাতি একবাক্যে নিউটনকে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিকের আসন প্রদান করিয়াছেন। অথচ এই আত্মাভিমানশূন্ত কৰ্ম্মবীর মৃত্যুর পূৰ্ব্বে বলিয়া গিয়াছিলেন “আমি জানি না জগৎ আমার কার্য্যাবলী সম্বন্ধে কি মনে করিলে ; কিন্তু আমার নিজের মনে হয় যে আমি জ্ঞানসমুদ্রের তীরে বসিয়া ক্ষুদ্র বালকের স্থায় প্রস্তরখণ্ড কুড়াইয়াছি মাত্র, আর বিশাল জ্ঞানসমুদ্র সমস্তই অনাবিষ্কৃতভাবে আমার সম্মুখে পড়িয়া রহিয়াছে।” ১৬৪২ খ্ৰীষ্টাব্দে ইংলণ্ডের অন্তঃপাতী লিনকনসায়ারের মধুস্থ । উলদ্বীপ নামক গ্রামে নিউটনের জন্ম হয় যিনি এককালে বিশ্বের ‘আকর্ষণ আবিষ্কার করিয়া যশস্বী হইবেন, তিনি ভূমিষ্ট হইবার কালে এত ক্ষুদ্রকায় ছিলেন যে, তাহার মাতা বলিয়াছিলেন যে তিনি তাহার সস্তানকে একটা বোতলের মধ্যে অনায়াসে রাখিতে পারিতেন। ভুমিষ্ঠ শিশু এতই দুৰ্ব্বল ছিল যে দুইটী স্ত্রীলোক তাহার জন্ত ভিন্ন গ্রামে ঔষধ আনিতে যাইবার কালে মনে করে নাই যে তাহারা ফিরিয়া আসিয়া শিশুটিকে জীবন্ত দেখিতে