পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

జని లి বৈজ্ঞানিক জীবনী বিশ্বাকর্ষণ আবিষ্কার । কেম্বি জ হইতে প্রত্যাগমন করিবার পূর্ব হইতেই নিউটন জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রতি আকৃষ্ট হইয়াছিলেন। জ্যোতিষের একটা প্রশ্ন তঁহাকে বড়ই চঞ্চল করিয়া তুলিয়াছিল । তিনি সৰ্ব্বদাই মনে মনে ভাবিতেন “আচ্ছা ! চন্দ্র পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে কেন ? গ্রহ উপগ্ৰহগণই বা স্বৰ্য্যের চতুর্দিকে ঘুরিয়া বেড়ায় কেন ? উস্থার সোজা চলিয়া যায় না কেন ? বৃত্তাকারে ঘুরিয়া বেড়ায় কেন ? একটি গোল মাৰ্ব্বেলকে একটি সমতল ক্ষেত্রের উপর গড়াইয়া দিলে উহা বাতাস বা ক্ষেত্রের ঘর্ষণজনিত কোনও প্রকার বাধা প্রাপ্ত না হইলে বরাবর সোঞ্জাই চলিতে থাকিবে । তবে গ্রহ উপগ্রহ সকল সোজা চলিয়া যায় না কেন ? কোন্‌ শক্তি উহাদিগকে ঘুরাইতে থাকে ?” তিনি ইহার কারণ কিছুতেই ঠিক করিয়া উঠিতে পারিলেন না। এইরূপ মানসিক অবস্থা লইয়া প্লেগের বৎসরে তিনি স্বগ্রামে চলিয় গেলেন। সেখানেও সেই চিস্তা। একদিন বাগানে বসিয়া এইরূপ চিন্তা করিতেছেন, এমন সময়ে সম্মুখস্থ একটি বৃক্ষ হইতে একটি পক্ক আপেল ফল মাটিতে সশব্দে পড়িয়া গেল । তিনি উহ লক্ষ্য করিলেন, তখনই মনে মনে প্রশ্ন উঠিল, আপেল পড়ে কেন ? মনে মনে তখনই উহার জবাবও মিলিল –“পৃথিবী আপেলকে আকর্ষণ করে বলিয়াই আপেল মাটিতে পড়ে।” যেমন জলমগ্ন ব্যক্তি সন্মুখস্থ কাষ্ঠখণ্ড দর্শনে, অথবা অন্ধকার গৃহমধ্যস্থ বন্দী অপ্রত্যাশিত ক্ষীণ জ্যোৎস্না দর্শনে, যেরূপ পুলকিত হয়, নিউটনও এই অপ্রত্যাশিত মানসিক উত্তর পাইয়৷ সেইরূপ