পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিউটন >ネ> আনন্দিত হইলেন। পৃথিবীর আকর্ষণ যে ইতিপূৰ্ব্বে আবিষ্কৃত হয় নাই এমন নহে। নিউটনের ছয় শত বৎসর পূৰ্ব্বে ভারতের বৈজ্ঞানিকগণের উজ্জ্বল ভাস্কর ভাস্করাচার্য্য বলিয়া গিয়াছেন ঃ– আকৃষ্টশক্তিশ্চ মহী তয় যৎ থস্থং গুরু স্বাভিমুখং স্বশক্ত । আকৃষ্যতে তং পততীব ভাতি সপে সমস্তাং ক পতত্বিয়ং মে ॥ অর্থাৎ, “পৃথিবীর আকর্ষণ করিবার শক্তি আছে ; সেই শক্তির বলে শূন্তমৰ্গে প্রক্ষিপ্ত গুরু বস্তু পুনরায় পৃথিবী অভিমুখে আকৃষ্ট হয় বলিয়াই বস্তু সকল পতনশীল বলিয়া বোধ হঠয়া থাকে, আর পৃথিবীর চতুদ্ধিকের আকাশ সমান হওয়াতে পৃথিবী আর কোথায় পড়িবে ?” অতএব পৃথিবীর আকর্ষণ প্রাচীন কালে ভারতে আবিষ্কৃত হইয়াছিল বলিয়া ভারতবাসী গৌরব করিতে পারেন। নিউটন এই পৃথিবীর আকর্ষণকে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে স্থাপিত করিয়া উহা বিশ্বের আকর্ষণের অঙ্গীভূত বলিয়া প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন এবং এই বিশ্বাকর্ষণ সম্বন্ধে পরিমাণাত্মক নিয়মও (quantitative law) আবিষ্কার করিয়া সমগ্র জ্যোতিষশাস্ত্রকে এক অভিনব স্থত্রে গ্রথিত করিয়াছিলেন । নিউটন ভাবিলেন, যদি পৃথিবী ক্ষুদ্র আপেল ফলটিকে বা উদ্ধে প্রক্ষিপ্ত বস্তুমাত্রকেই টানিতে পারে তবে উহ। পৃথিবী অপেক্ষ ক্ষুদ্র, চন্দ্রকে আকর্ষণ করিবে না কেন ? পৃথিবী যদি চন্দ্রকে আকর্ষণ করে তাহা হইলে সৰ্ব্বাপেক্ষ বৃহত্তম জ্যোতিষ্ক স্বৰ্য্য, পৃথিবী ও গ্রহনক্ষত্রবর্গকে আকর্ষণ করিবে না কেন ? নিউটন ক্রমশঃ স্থির করিলেন যে এই বিশ্বকর্ষণই জ্যোতিষ্কমণ্ডলীকে শূন্তমার্গে বৃত্তাকারে ঘুরাইতেছে। পাঠকবর্গকে টনের সিদ্ধান্ত সহজেই বুঝান যাইতে পারে। একখণ্ড দড়িতে