পাতা:বৈজ্ঞানিক-জীবনী (প্রথম ভাগ).djvu/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাগাৰ্জুন Ꮌ8Ꮔ করিতে হইলে জলযুক্ত কলসীর বদলে থালি কলসী ব্যবহৃত হইত এবং কলসীর উপর বহির্দেশে জল ঢালিয়া উহাকে শীতল রাখিতে হইত। ধাতুর জারণ মারণ আবিষ্কার। বধি তাকিগ্ৰন্থ একবাক্যে নাগার্জনকে লৌহ প্রভৃতি ধাতুর জারণ মারণ প্রক্রিয়ার আবিষ্কারক বলিয়া স্বীকার করিয়াছে। এই ধাতুমারণ প্রক্রিয়া ও নীচ ধাতুকে স্বর্ণে পরিবর্তন করিবার প্রক্রিয়ার আবিষ্কার হইতেই রসায়ন শাস্ত্রের উৎপত্তি। এই দুই প্রক্রিয়ার আবিষ্কৰ্ত্ত বলিয়া ভারতে নাগাৰ্জুন রসায়ন শাস্ত্রের প্রতিষ্ঠাতার গৌরবের অধিকারী। ধাতুবর্গের মারণ প্রক্রিয়ার প্রথম উল্লেখ আমরা স্বশ্ৰুতের উত্তরতন্ত্রে দেখিতে পাই। পূৰ্ব্বেই উল্লিখিত হইয়াছে যে ডবনাচার্য্যের মতে মুশ্রতের উত্তরতন্ত্রের রচয়িত নাগাৰ্জ্জুন। যদি নাগাৰ্জুন উত্তরতন্ত্রের রচয়িত হন তাহা হইলে উত্তরতন্ত্রে বর্ণিত ধাতুর অয়স্কৃতিবিধি নাগাৰ্জ্জুন প্রবর্তিত ধাতুমারণ প্রক্রিয়ার প্রথম পরিচয়। এই অয়স্কৃতিবিধি ভারতে ধাতুর যৌগিক (compound ) প্রস্তুতপ্রক্রিয়ার প্রথম চেষ্টা। স্বশ্ৰতে লৌহ ও অন্তান্ত ধাতুর অয়স্কৃতি প্রক্রিয়া নিম্নলিখিত ভাবে বর্ণিত আছে —“লোঁহের অতি স্বল্প পাত প্রস্তুত করিয়া তাহাতে লবণবর্গের প্রলেপ দিবে, পরে সেই লবণলিপ্ত লৌহপাত গোময়াগ্নিতে দগ্ধ করিয়া ত্রিফল ও সালসারাদিগণের কার্থ দ্বারা নির্বাপিত করিবে। এইরূপে ষোলবার দগ্ধ ও নিৰ্ব্বাপিত করার পর পুনৰ্ব্বার তাহা খদির কাঠের অগ্নিতে দগ্ধ করিবে।